শ্যালিকাকে ধর্ষণ মামলায় গোপালগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
গোপালগঞ্জে শ্যালিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগ নেতা নাঈম কাজীকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নাঈমকে মুকসুদপুর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে পুলিশ তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
শ্যালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে মুকসুদপুর থানার ওসি মো. আবু বকর মিয়া বলেন, ওই ছাত্রলীগ নেতার শ্যালিকা আজ শুক্রবার বিকেলে গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া সুলতানার আদালতে ২২ ধারায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে ওই তরুণী ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। এছাড়া দুপুরে গোপালগঞ্জ আড়াইশ বেড জেনারেল হাসপাতালে ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ওই আদালতেই অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ছাত্রলীগ নেতার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিকেলে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত নাঈম কাজী সরকারি মুকসুদপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি মুকসুদপুর উপজেলার প্রভাকরদী গ্রামের মোশারফ কাজীর ছেলে।
মুকসুদপুর থানার ওসি আরও জানান, গত ২১ জানুয়ারি শুক্রবার ছাত্রলীগ নেতা নাঈম কাজীর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী মুকসুদপুর উপজেলা সদরে একটি ক্লিনিকে আসেন। তার সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতার শ্যালিকাও আসেন। ছাত্রলীগ নেতা নাঈম তার তিন সহযোগী লুৎফর কাজী, জসিম মুন্সি ও এমদাদুল হকের সহযোগিতায় শ্যালিকাকে ফুঁসলিয়ে অপহরণ করেন। ওই তরুণীকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে তরুণীর বাবা ছাত্রলীগ নেতা নাঈমকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক পিটিশনটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে তাঁকে (মুকসুদপুর থানার ওসিকে) নির্দেশ দেয়। কোর্টের আদেশ পেয়ে বৃহস্পতিবার তারা মামলাটি দায়ের করেন। ওই দিন রাতেই মুকসুদপুর উপজেলা সদর থেকে ছাত্রলীগ নেতা নাইম কাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্যা জানান, সরকারি মুকসুদপুর কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম কাজীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অপরাধের বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমনকি তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে।