খুলনায় পুকুরে যমজ শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মায়ের বিরুদ্ধে মামলা
খুলনার তেরখানা উপজেলায় পুকুরে ভাসমান অবস্থায় দুই শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তাদের মা কনা খাতুনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। যমজ শিশুদের বাবা মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে তেরখাদা থানায় এ মামলা করেন। এরই মধ্যে কনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কনা খাতুন দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার গাংনী গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থাকতেন। সন্তানদের নিয়ে কয়েকদিন আগে তিনি খুলনার তেরখাদা উপজেলার কুশলা গ্রামে বাবার বাড়িতে এসেছিলেন। তাঁর স্বামী মাসুম বিল্লাহ চাঁদপুরে একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ঘটনার দিন তিনি গাংনীতে ছিলেন।
লাশ উদ্ধারের পর তেরখাদা থানার ওসি জহুরুল আলম বলেছিলেন, ‘শিশু দুটি একই সঙ্গে মারা যাওয়ার বিষয়টি বেশ রহস্যজনক। পরিবারের লোকজনের ব্যবহার সন্দেহজনক। শিশু দুটির বয়স দুই মাস ১১ দিন। তারা তো রাতে হেঁটে পুকুরে যায়নি। তাদের পুকুরে ফেলা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। কারও আচরণ সন্দেহজনক হলে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।’
স্থানীয়রা বলছেন, তেরখাদার কুশলা গ্রামের আবদুল খায়ের শেখের মেয়ে কনা খাতুনের সঙ্গে বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার গাংনীর মাতারচর গ্রামের মাসুম বিল্লাহ’র বিয়ে হয়। দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে কয়েকদিন আগে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন কনা। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে দুই শিশুকে খাওয়ানোর পর ঘুমিয়ে পড়েন কনা। ঘণ্টাখানেক পর শিশুদের আর খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। তাঁর চিৎকারে ঘুম ভাঙে বাড়ির অন্যদের। সে সময় তাঁর স্বামী মাসুম বিল্লাহ গাংনীতে ছিলেন। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওই শিশুদের লাশ পুকুরে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনার পর থেকে পরিবারের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানিয়েছেন তেরখাদা থানার ওসি (তদন্ত) মো. মাসুম কাজী।