ময়মনসিংহে নকল স্বর্ণের বারসহ গ্রেপ্তার ২
ময়মনসিংহ নকল স্বর্ণের বার দিয়ে প্রতারণাকালে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় আরও দুই প্রতারক পালিয়ে যান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১৪-এর সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসাইন এক ই-মেইল বার্তায় এই খবর নিশ্চিত করেন।
বেলায়েত হোসাইন জানান, ময়মনসিংহ শহরের কোতোয়ালি থানার শম্ভুগঞ্জ এতিমখানা মোড়ের হারুনুর রশিদের দোকানের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, স্বর্ণের বার সদৃশ ৩৭ গ্রাম ওজনের দুটি ধাতব খণ্ড উদ্ধার এবং প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়।
মোহাম্মদ বেলায়েত হোসাইন আরও জানান, গতকাল সোমবার দুপুর ২টায় পাটগুদাম ব্রিজ থেকে রোকসানা বেগম নামে এক নারী ফুলপুরে স্বামীর বাড়ি যেতে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। সেখানে চার প্রতারক আগেই বসা ছিল। তাদের মধ্যে প্রতারক বাদল চৌহান রোকসানা বেগমকে সামান্য কিছু টাকা এবং পরিধেয় স্বর্ণালঙ্কারের বিনিময়ে দুটি স্বর্ণের বার দেওয়ার প্রস্তাব দেন। সরল বিশ্বাসে রোকসানা তার কথায় বিশ্বাস করে পরিধেয় ১৬ হাজার টাকা মূল্যমানের দুটি কানের দুল ৩৩ হাজার টাকা মূল্যমানের গলার চেইন, পাঁচ হাজার টাকার একটি বাটন ফোন চৌহানকে দিয়ে দুটি নকল স্বর্ণের বার নেন। পরক্ষণেই সন্দেহ হলে রোকসানা নকল বার ফেরত দিয়ে তার স্বর্ণের গহনা ফেরত চান। এ সময় প্রতারকদের সঙ্গে তার হৈচৈ শুরু হয়। এতে আশপাশের লোকজন জড়ো হন। এ সময় র্যাবের একটি টহলদল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই প্রতারককে আটক করে। বাকি দুই প্রতারক রোকসানার স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যান।
র্যাব আরও জানায়, আটক আসামিদের আজ বিকেলে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। রোকসানা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি প্রতারণার মামলা করেছেন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ভুক্তভোগী রোকসানা বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। আসামিদের থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। আটককৃত ব্যক্তিদের সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।