প্রয়োজনে রুশ সেনাদের সঙ্গে যোগ দেবে বেলারুশ : লুকাশেঙ্কো
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, বেলারুশের সৈন্যরা বর্তমানে রাশিয়ার সঙ্গে মিলে ইউক্রেনে আক্রমণে অংশ নিচ্ছে না - তবে প্রয়োজন হলে তারা সেখানে অংশ নেবে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলারুশ থেকে রাশিয়ার সেনাবহর ইউক্রেনে প্রবেশ করেছে। সামরিক মহড়ার জন্য মস্কোর সেনাবহর কয়েক সপ্তাহ ধরে বেলারুশে রয়েছে।
‘আমি আবার বলছি, আমাদের সৈন্য সেখানে নেই। তবে যদি এটি প্রয়োজন হয়, যদি বেলারুশ এবং রাশিয়ার জন্য প্রয়োজন হয়, তারা তা করবে,’ বলেন লুকাশেঙ্কো।
বেলারুশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বেল্টার প্রতিবেদনের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
বেলারুশ রাশিয়ার দীর্ঘদিনের মিত্র। বিশ্লেষকরা ছোট দেশটিকে রাশিয়ার ‘ক্লাইন্ট স্টেট’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে বিচ্ছিন্নতাবাদী-নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন।
ইউক্রেনের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বলছে, ট্যাংকসহ রাশিয়ার ভারী সামরিক যানবাহন উত্তরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে ইউক্রেনে ঢুকেছে। এ ছাড়া ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখল করা ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দিয়েও রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ঢোকার কথা জানিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
এদিকে ইউক্রেনে ঢোকা প্রায় ৫০ জন রুশ সেনাকে হত্যা করা হয়েছে এবং চারটি রুশ ট্যাংক ধ্বংস করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে দাবি করেছে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ‘খারকিভ শহরের বাইপাস রোডে চারটি রুশ ট্যাংক পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
বিবৃতিতে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী আরও বলেছে, ‘শচাস্টিয়া শহরে প্রায় ৫০ জন রুশ হাদানার নিহত হয়েছে।’
এ ছাড়া ক্রামাতোর্স্ক শহরের কাছে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী রাশিয়ার একটি উড়োজাহাজ ভূপাতিত করেছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনে রুশ সামরিক বাহিনীর বোমা হামলায় সাত জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের পুলিশ।
ইউক্রেনের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন—সে দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী ওডেসার বাইরে পোডিলস্ক এলাকায় একটি সামরিক ইউনিটে রুশ হামলায় ছয় জন নিহত এবং সাত জন আহত হয়েছেন।