বিডিআর হত্যাকাণ্ড দেশের ইতিহাসে নৃশংস ঘটনা : মেজর হাফিজ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্রের বিশেষ ব্যক্তি, আন্তর্জাতিক মহল ও দেশের বিশেষ একটি রাজনৈতিক দল জড়িত রয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের নায়করা হত্যাকাণ্ডের আগে পরিকল্পনাকারীদের সঙ্গে তাদের বাড়িতে গিয়ে সভা করেছে। পরদিন আবার তাদেরই পাঠানো হয়েছে বিদ্রোহ দমাতে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে নৃশংস ঘটনা।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত পিলখানা ট্র্যাজেডিতে নিহতদের মাগফেরাত কামনায় এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, ‘যেসব সেনা সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে, তারা অত্যন্ত বীরত্বের সঙ্গে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বর্ডারে দায়িত্ব পালন করেছে। আপনারা জানেন, বড়াইগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় জনগণের জানমাল রক্ষাসহ বীরত্বের সঙ্গে ভূমিকা পালন করেছে। তাদের অত্যাচার অবিচারের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে বিডিআর বাহিনী। এজন্যই এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করে দেওয়া, তাদের মনোবল ভেঙে দেওয়া। এর সঙ্গে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দলের অনেক নেতা জড়িত ছিলেন।’
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘একটি দেশের নাগরিকরা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের স্বার্থসিদ্ধির জন্য নিজের দেশের সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করে দেবেন, এটি কল্পনা বহির্ভূত ছিল। এর মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে অকার্যকর করা।’
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি আইন দ্বারা পরিচালিত উল্লেখ করে সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘আইনে স্পষ্ট বলা আছে যদি বাহিনীর কোথাও বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে, তাহলে বাহিনীর সবাই বিদ্রোহ দমনের চেষ্টা করবেন। যদি কেউ তা না করেন তাহলে ওই বিদ্রোহের সঙ্গে তারাও জড়িত বলে প্রতীয়মান হবে। এর জন্য সরকার প্রধান বা অন্য কারও সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকতে হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, কুলাঙ্গার মঈন ইউ আহমেদ সেদিন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে গিয়ে বসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সে দিন তাকে পাশের একটি রুমে বসিয়ে রেখেছেন। কথাও বলেননি।’
আওয়ামী লীগ উন্নয়নের ধুয়া তুললেও জনগণের কোনো উন্নয়ন হয়নি দাবি করে হাফিজ বলেন, ‘শুধু উন্নয়ন হচ্ছে আওয়ামী লীগের।’