চাঁদপুর মেরিন একাডেমির শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
চাঁদপুর ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের ওপর দুই দফায় হামলার প্রতিবাদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকালে ক্যাম্পাসে দুই ঘণ্টাব্যাপী এসব কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
হামলায় সাত শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তাকর্মী আহত হন। আহতরা হলেন—শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম, রুহুল আমিন রনি, কাউসার ইসলাম ও আসলাম শেখ, ফারহান আহমেদ, কায়েস মাহমুদ, জনি এবং নিরাপত্তাকর্মী কিবরিয়া।
সামিউল ইসলাম, আবদুল্লাহ তানভির ও মো. কায়েসসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘গত শুক্রবার বিকেলে নদীর পাড়ে কিছু শিক্ষার্থী বসেছিল। এ সময় ষোলঘর এলাকার সোহানের নেতৃত্বে হঠাৎ করে কিছু যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। ওই সময় আমাদের পাঁচ জন শিক্ষার্থী আহত হন।’
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘পরদিন শনিবার দুপুরে অভিভাবকদের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি নিয়ে বসতে চাইলে বহিরাগতরা আবার হামলা চালায়। এতে আরও দুজন শিক্ষার্থী আহত হন।’
মানববন্ধন থেকে বলা হয়, শনিবার হামলার পর রাতে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ঢুকতে গেলে নিরাপত্তাকর্মী কিবরিয়া বাধা দেন। এ সময় তাঁর ওপর হামলা করা হয়। পরে ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, দুবৃত্তরা শিক্ষার্থীদের মেসে গিয়ে হুমকিধমকি দিচ্ছেন। বাইরে থেকে প্রতিনিয়ত প্রতিষ্ঠানের ভেতর ইটপাটকেল ছোড়া হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা এসব সমস্যার সমাধান ও বিচার চেয়েছেন। একই সঙ্গে ‘হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
চাঁদপুর ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির অধ্যক্ষ ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. শাখাওয়াত আলী বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত একটি পরিস্থিতি ঘটেছে। ঘটনার সময় আমি ছিলাম না, পরে এসে শুনেছি।’
অধ্যক্ষ বলেন, ‘উভয়ের বক্তব্য শুনে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ শিগগির এ সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো কারণে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণ হয়নি, ইট ছুড়েছে। এখানে বড় কিছু হয়নি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।’