নির্বাচনের মাঠ না ছাড়তে ইউক্রেনের ‘প্রতিরোধ যুদ্ধের’ কথা শোনালেন সিইসি
নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে না দিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচনের মাঠ না ছাড়ার আহ্বান জানিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির প্রসঙ্গ টেনে সিইসি আরও বলেন, ‘জেলেনস্কি হয়তো দৌড়ে পালিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু, উনি পালাননি। উনি রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরোধ যুদ্ধ করে যাচ্ছেন।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর নির্বাচন কমিশন ভবনে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সিইসি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে রাজনৈতিক দলগুলোরও ভূমিকা রয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচনের যে একেবারে বটম লেভেল, সেখানে নির্বাচন পরিচালনার যে দায়িত্ব, রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মীরা থাকেন, সেখানে কিন্তু দক্ষতা ও সামর্থের সঙ্গে প্রতিটি দলকে পালন করতে হবে। যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমি বলতে চাচ্ছি, মাঠ ছেড়ে চলে এলে হবে না। মাঠে থাকবেন, কষ্ট হবে। এখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হয়তো দৌড়ে পালিয়ে যেতে পারতেন, কিন্তু উনি পালাননি। উনি বলছেন, আমি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করব। উনি রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরোধ যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। নির্বাচনও একটি যুদ্ধ, সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়, সেখানে কিছুটা ধস্তাধস্তি হয়। এগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা চেষ্টা করব; আমাদের যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে তাদের দিয়ে। এগুলো নিয়ে আমরা আরও বিস্তারিত আলোচনা করব।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, ‘আমি যদি একটি দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন করি আমার এলাকায়, আমার বাড়ি ঈশ্বরদী। ওখানে একজন আছেন, আমিও দাঁড়িয়ে গেলাম। আমি ওনার শক্তি দেখে অমনি জাহাজে উঠে চট্টগ্রাম চলে এলাম। তাহলে কিন্তু নির্বাচনটা হবে না। আমাকে ওখানে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। আমার যারা কর্মী আছে, তাদের বলতে হবে, তোমরা কেন্দ্রে কেন্দ্রে থাক। আর ওরা যদি কেন্দ্রে কেন্দ্রে না থাকে, তাহলে তো অবাধে ভোট দিতে থাকবেন। আমরা সেটা চাই না। আমরা চাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। সবাই যদি মাঠ ছেড়ে দেয়, নির্বাচন কমিশন কতটা খেয়াল করতে পারবে?’