সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ অর্জন ও বিক্রির তথ্য জানাতে হবে
সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সম্পদ অর্জন বা বিক্রি করলে সে তথ্য জানাতে হবে। সেই সঙ্গে সম্পদের হিসেব বিবরণীও পেশ করতে হবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে। সরকারের এ নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সচিবদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ একাধিক মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাফিসা আরেফীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর আওতাভুক্ত সব সরকারি কর্মকর্তা তাদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল, উক্ত সম্পদ বিবরণী ডাটাবেজ তৈরি ও নিয়ন্ত্রণকারী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় থেকে স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির বিষয়ে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ এর ১১, ১২ ও ১৩ বিধি প্রতিপালন পূর্বক এ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে পুনরায় অনুরোধ করা হলো।’
চিঠির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের পাঁচ বছর পর পর সম্পদ বিবরণী পেশ ও স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির অনুমতি নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ নিয়ম মানছেন না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুশাসনের পরিপ্রেক্ষিতে বিধিমালাটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সম্পদ বিবরণী দাখিল ও স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির নিয়ম মানতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সচিবদের কাছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এর আগে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
গত বছরের ২৪ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-৪ শাখার চিঠিতে বলা হয়, ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ এর বিধি ১১, ১২ ও ১৩-তে সরকারি কর্মচারীদের স্থাবর সম্পত্তি অর্জন, বিক্রয় ও সম্পদ বিবরণী দাখিলের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সুশাসন নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী উল্লিখিত বিধিসমূহ কার্যকরভাবে কর্মকর্তাদের অনুসরণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে। ওই সময় সরকারি কর্মচারীর জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ও সম্পত্তি ক্রয় বা অর্জন ও বিক্রির অনুমতির জন্য আবেদনপত্রের নমুনা ফরম ও বিদ্যমান সম্পদ বিবরণী দাখিলের ছকও চিঠির সঙ্গে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিষয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এরই প্রেক্ষিতে নতুন করে আবার চিঠি দেওয়া হয়েছে।