ইউক্রেনে থাকা স্বজনদের সহযোগিতার পথ খুঁজছে প্রবাসীরা
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ইউক্রেনীয়রা মরিয়া হয়ে তাঁদের প্রিয়জনদের সহযোগিতার পথ খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান দিয়েগো শহরে বসবাসকারী ইউক্রেনীয়-মার্কিন দম্পতি ক্রিস্টিনা বোরোডে ও দিমিত্র তেতেরেভ জানান, তাঁদের পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যই ইউক্রেনে রয়েছে। তাঁদের আশ্রয় ও নিরাপত্তা দরকার। সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে ইউক্রেনীয়-মার্কিনিদের এমন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
ক্রিস্টিনা সিএনএনকে বলেন, ‘আমি তাঁদের (ইউক্রেনে থাকা স্বজন) সঙ্গে দিন-রাত কথা বলি। মাঝে মধ্যে গভীর রাতে ঘুম ভেঙে যায়। ঘুমাতে পারি না। খুদেবার্তা পাঠিয়ে, ফোন দিয়ে আশ্বস্ত হই যে, তারা নিরাপদে আছে। তারা জানায়, তাদের সহযোগিতা, আশ্রয় ও নিরাপত্তা প্রয়োজন, নিরাপদে থাকার নিশ্চয়তা প্রয়োজন—যেটা তাদের নেই।’
দিমিত্র তেতেরেভ জানান, তাঁর পরিবার সেখানে (ইউক্রেন) থাকবে, না-কি চলে যাবে, এটা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। তিনি বলেন ‘এটি চলমান একটি পরিস্থিতি। আমি যেন দুই দেশের দুই সময়ে অবস্থান করছি। একটি ইউক্রেনের সময়ে, আরেকটি যুক্তরাষ্ট্রের। আমি শুধু তাদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবছি। সেটির জন্য যা যা দরকার, তাই করছি।’
তেতেরেভ জানান, তাঁর পরিবারের সদস্যেরা পালাতেও পারছে না। যদি পালানোর চেষ্টাও করে, তাহলে তারা জানে না যে, বোমা বিস্ফোরণ বা রকেট হামলার শিকার হবে কি না।
তেতেরেভ বলছিলেন, তিনি একটি স্বেচ্ছাসেবী দলের সঙ্গে কাজ করছেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সংগ্রহ করে ইউক্রেনে পাঠানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু, ইউক্রেনে অর্থ পাঠানোই এখন বড় সমস্যা। কারণ, পাঠানো অর্থ তাদের হাতে পৌঁছানোর সুযোগ তেমন নেই।’ তিনি বলেন, ‘অর্থ তাদের সহযোগিতা করতে পারে। তবে, তাদের জন্য খাদ্য ও ওষুধ প্রয়োজন, যা সেখানে সরবরাহ করা হচ্ছে না। তাদের বেঁচে থাকার মতো উপকরণ সরবরাহ করা দরকার।’