সহকর্মীর মামলায় নারী আইনজীবীসহ তিনজন কারাগারে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিন নারী আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী এই আদেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবির বাবুল এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নারী আইনজীবীসহ তিনজন আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। এরপরে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আইনজীবী আরও বলেন, অভিযুক্তরা হচ্ছেন আইনজীবী মনজিলা সুলতানা ও তার দুই সহযোগী কাজী তাহমিনা সুলতানা বাবলী এবং তানজিলা সুলতানা।
পিপি আরও বলেন, মামলার বাদী শাহ পরান ঢাকা আইনজীবী সমিতির একজন সদস্য। তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। মামলার আসামি অ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা তাঁর ফেসবুক আইডিতে বাদী সম্পর্কে আক্রমণাত্মক ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করেন। মনজিলার স্বামী বিজয় শাকিল ও অপর দুই আসামি এ বিষয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর কমেন্ট করলে বাদীসহ চার জনকে আসামি করে ঢাকার কোতোয়ালি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
এরপরে,আসামিরা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে আদালত চার সপ্তাহের জামিন দিয়ে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেন। হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক আসামিরা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক রেজাউল করিম চৌধুরী অভিযুক্ত বিজয় শাকিলকে জামিন মঞ্জুর করে আসামি মনজিলা সুলতানা, কাজী তাহমিনা সুলতানা বাবলী ও তানজিলা সুলতানাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে, শুনানির সময় আসামিদের আইনজীবী ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মাহবুবুর রহমান ও শাহরিয়ার কবির বিপ্লব বলেন, মামলার বাদী শাহ পরান এর বিরুদ্ধে আসামি মনজিলা সুলতানা চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে ইতোপূর্বে মামলা করেছেন। এই মামলার পাল্টা মামলা হিসাবে বাদী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকায় এই মিথ্যা মামলা করেছেন।
বাদী পক্ষে সাইদুর রহমান মানিক, আনোয়ারুল কবীর বাবুল, তাপস চন্দ্র দাস প্রমুখ আইনজীবী বলেন, চট্টগ্রামের মামলাটি অসত্য ও বাস্তবতা বিবর্জিত ঘটনায় সাজানো হয়েছে। শাহ পরান বাদিনীর শ্লীলতাহানি করেননি।