ঢাবির হলে শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ‘গেস্টরুমে’ (অতিথিকক্ষ) শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন। হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসাইন গতকাল রোববার রাতে এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১০ মার্চ ঢাবির অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী আবু তালিবকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে হল ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান শান্তের অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
প্রাধ্যক্ষ মো. আকরাম হোসাইন বলেন, ‘ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আমরা এরই মধ্যে আবাসিক শিক্ষক ড. মো. আবদুস সোবহান তালুকদারকে (উপল তালুকদার) প্রধান করে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। উনারা কাজ শুরু করেছেন, সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। তদন্তের কাজ চলমান।’
তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যেরা হলেন—আবাসিক শিক্ষক ড. সাইফুল হক, ড. আব্দুল খায়ের ও তানজিল শাহ।
তদন্ত কমিটির প্রধান ড. উপল তালুকদার বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে সত্য উদ্ঘাটনে কাজ শুরু করেছি। ভুক্তভোগী, অভিযুক্ত ও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আমরা তথ্য প্রমাণাদিসহ প্রভোস্ট বরাবর রিপোর্ট জমা দেব।’
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বঙ্গবন্ধু হলের ২০১ (ক) নম্বর কক্ষে আবু তালিবকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে একই হলের ২০১৮-১৯ সেশনের চার ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে।
অভিযুক্তরা হলেন—সমাজকল্যাণ বিভাগের শেখ শান্ত আলম, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ইমদাদুল হক বাঁধন, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শাহাবুদ্দিন ইসলাম বিজয় ও আইন বিভাগের নাহিদুল ইসলাম ফাগুন।
ঘটনার পরের দিন থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত হলের বাইরে আছেন আবু তালিব। প্রাধ্যক্ষের আশ্বাস পেলেও ভয়ের কারণে আবু তালিব হলে ওঠেননি। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন আবু তালিব।
অধ্যাপক আকরাম বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার কোনো কারণ নেই। আমরা সব ব্যবস্থা নেব।’