হোসেনি দালানে বোমা হামলা : দুজনের কারাদণ্ড, খালাস ৬
রাজধানীর পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে বোমা হামলার ঘটনায় দুই আসামিকে কারাদণ্ড এবং ছয় জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তদের একজনকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, অপর আসামিকে দেওয়া হয়েছে সাত বছর। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ছয়জনকে খালাস দেন আদালত।
ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান আজ মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন।
এ রায়ে আরমান ওরফে মনিরকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কবির হোসাইন ওরফে রাশেদ ওরফে আশিফকে দেওয়া হয়েছে সাত বছরের কারাদণ্ড।
এ ছাড়া চার্জশিটভুক্ত ১০ আসামির মধ্যে ছয়জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন—আবু সাঈদ ওরফে সালমান, রুবেল ইসলাম ওরফে সুমন ওরফে সজীব, চান মিয়া, ওমর ফারুক, হাফেজ আহসানউল্লাহ মাহমুদ ও শাহজালাল।
বাকি দুই আসামি নাবালক হওয়ায় তাদের বিচার শিশু আদালতে চলমান। এই দুজনের নাম জাহিদ হাসান ও মাসুদ।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর রাতে হোসেনি দালান এলাকায় তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিরা বোমা হামলা চালায়।
এ ঘটনায় রাজধানীর চকবাজার থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ডিবি দক্ষিণের পুলিশ পরিদর্শক মো. শফিউদ্দিন শেখ ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে ১০ জঙ্গিকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে ২০১৭ সালের ৩১ মে ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত।
আসামিরা ছিলেন—কবির হোসেন, রুবেল ইসলাম, আবু সাঈদ, আরমান, হাফেজ আহসান উল্লাহ মাসুদ, শাহ জালাল, ওমর ফারুক, চাঁন মিয়া, জাহিদ হাসান ও মাসুদ রানা।
আসামিদের মধ্যে আরমান, রুবেল ও কবির আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত আবদুল্লাহ বাকি ওরফে নোমান ছিলেন হোসেনি দালানে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। হামলার আগে ১০ অক্টোবর তাঁরা বৈঠক করে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন।