চীনা টেলিকম ফার্মের অনুমোদন প্রত্যাহার করল যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী চীনা ফার্ম প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক করপোরেশন এবং এর সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহায়ক সংস্থা কমনেট (ইউএসএ) এলএলসি’র অনুমোদন প্রত্যাহারের পক্ষে ভোট দিয়েছে মার্কিন যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। খবর এএনআই’র।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মার্কিন ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন (এফসিসি) বলেছে, অনুমোদন প্রত্যাহার ও কার্যক্রম সমাপ্তির আদেশ দেওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে কোম্পানিগুলোকে যেকোনো দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সেবা স্থগিত করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘নির্বাহী শাখা এজেন্সিগুলোর ইনপুটের ওপর ভিত্তি করে কোম্পানিগুলোর কার্যক্রমে পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা, পাবলিক রেকর্ড ও আইনের আওতায় এফসিসি’র জনস্বার্থ বিশ্লেষণের মাধ্যমে কমিশন দেখতে পায় যে, এফসিসির বর্তমান পদক্ষেপটি সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকি থেকে দেশের টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোকে রক্ষা করছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়—২০২১ সালের মার্চ মাসে কমিশন জানতে পেরেছে যে, প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ও কমনেথাড যুক্তরাষ্ট্রে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুতর উদ্বেগগুলো মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে।
কমিশন যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তাতে প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ও কমনেট এবং নির্বাহী শাখা এজেন্সিগুলোকে সর্বশেষ যুক্তি বা প্রমাণ দেখাতে হবে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, এফসিসি’র জনস্বার্থ বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে কমিশন দেখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ও ভবিষ্যতের জনস্বার্থ, সুবিধা ও প্রয়োজনীয়তা কোম্পানির ২১৪ ধারা অনুযায়ী আর চলমান থাকে না।
মার্কিন আদেশ অনুযায়ী, কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী, তবে তা চীনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন। ফলে তা চীন সরকারের শোষণ, প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের অধীন এবং পর্যাপ্ত আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই চীন সরকারের অনুরোধগুলো মেনে চলতে বাধ্য হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, কোম্পানির মালিকানা এবং চীনের নিয়ন্ত্রণের ফলে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করে। কোম্পানিগুলোতে চীন সরকারের প্রবেশাধিকার কিছু ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রম ব্যাহত এবং ভুল পথে পরিচালিত করার সুযোগ তৈরি করে। তৃতীয়ত, এ উদ্বেগগুলোর ফলে কোম্পানির বিশ্বাসযোগ্যতা ও নির্ভরযোগ্যতার অভাব দেখা যায়।