বিএনপি সবসময় ভিক্ষাবৃত্তির মানসিকতা নিয়ে দেশ চালিয়েছে : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘বিএনপি সবসময় ভিক্ষাবৃত্তির মানসিকতা নিয়ে দেশ পরিচালনা করেছে। যে কারণে তারা ক্ষমতায় থাকাকালে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চেষ্টা করেনি এবং তাদের আমলে দেশে সবসময়ই বিশাল খাদ্য ঘাটতি ছিল।’
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ‘টুঙ্গিপাড়া : হৃদয়ে পিতৃভূমি’ শিরোনামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষকলীগ।
ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই দেশের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং কৃষি বিপ্লবের সূচনা করেন। সেটিকে অনুসরণ করে তাঁর সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষকের কষ্ট লাঘব ও কৃষককে লাভবান করতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ, কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি, বিশাল ভর্তুকিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করছে। চলতি বছর শুধু সারের জন্য কৃষককে ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে- যা সারা বিশ্বের বিরল ঘটনা।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলেই কৃষি উৎপাদন কমতে থাকে। উৎপাদনে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি শুরু হয়। তারা কৃষি উন্নয়নে গুরুত্ব না দিয়ে ভর্তুকির পরিমাণ কমিয়ে দেয়। কৃষকের দুর্দশা ও কষ্ট শুরু হয়।’
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দেশে কেউ খাদ্যের জন্য কষ্ট করবে না। মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক কোটি পরিবারের পাশে কমমূল্যে নিত্যপণ্য নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। আরও ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজিতে চাল দেওয়া হবে। ভিজিএফসহ আরও সহায়তা দেওয়া হবে, যাতে দেশের একজন মানুষকেও খাদ্যের জন্য কষ্ট করতে না হয়।’
বাংলাদেশ কৃষকলীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সহসভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।