গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন-সংগ্রামের বিকল্প নেই : নজরুল ইসলাম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র, সামাজিক মর্যাদা ও সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন-সংগ্রামের কোনো বিকল্প নেই। এবার ছলচাতুরী করে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সেমিনার কক্ষে বুধবার দুপুরে ‘শফিউল আলম প্রধানের স্মরণে ও স্বাধীনতার মূলমন্ত্র গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় নজরুল ইসলাম এ মন্তব্য করেন। এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাগপা।
নজরুল ইসলাম বলেন, এখন জিনিসের দাম এমন যে, হালাল উপার্জন করে খেয়েপড়ে টিকে থাকা দায়। তার ওপর তেল-গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। তারা (সরকার) বলছে বিশ্ববাজারে দাম বেড়েছে। বিশ্ববাজারে যখন দাম কমে তখন কী আপনারা দাম কমান? দাম বাড়ার আগেই যে বাড়তি দামে বিক্রি করেছেন, তাহলে সেই টাকা ভর্তুকি দেন। কিন্তু তারা তা করে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, দেশে গণতন্ত্র, সামাজিক মর্যাদা ও সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন-সংগ্রামের কোনো বিকল্প নেই। এবার ছলচাতুরী করে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। বিশ্বের কোনো দেশে নয় মাসের যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছে? লাখ লাখ নারী তাদের ইজ্জত সম্ভ্রম হারিয়েছে? যেখানে স্বাধীনতার ঘোষকের অবদান স্বীকার করা হয় না। যেখানে শফিউল আলম প্রধানের কথা তো পরে! আজকে ইতিহাস বিকৃতি করা হচ্ছে! এখন তো আওয়ামী লীগ ছাড়া কারো কিছুই স্বীকার করা যায় না।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, আজকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হয়। অথচ সেখানে যুদ্ধের সময় যিনি মুখ্যমন্ত্রী, সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন বা মুজিবনগরে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক ইউসুফ, বীরশ্রেষ্ঠ বা বীর উত্তম ও বীর বিক্রমদের সম্মান জানানোর কোনো আয়োজন হয় না।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম ১৯৭১ সালে দিনাজপুরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী ছিলেন উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, মরহুম শফিউল আলম প্রধান ছিলেন অত্যন্ত সাহসী ও বীরত্বপূর্ণ নেতা। তার অবদান অনস্বীকার্য। শফিউল আলম প্রধান সেদিনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার নিজ জেলা দিনাজপুরে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। আমরা যে স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি। বিশেষ করে গণতন্ত্রের জন্য। গণতন্ত্রের বাহন হলো সুষ্ঠু নির্বাচন। কিন্তু আমাদের নির্বাচনকে কেউ সুষ্ঠু বলে না।
সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহাদাত হোসেনের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের এহসানুল হুদা, ইসলামিক পার্টির আবু তাহের প্রমুখ।