মাদারীপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাইক্রোবাসের চাপায় স্কুলছাত্রী নিহত
মাদারীপুর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাক্রোবাসের চাপায় আয়েশা আক্তার (৯) নামে এক স্কুলছাত্রী মারা গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদারীপুর শহরের মহাসড়কের চৌরাস্তা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আয়েশা সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের মহিষেরচর এলাকার জাহাঙ্গীর মাতুব্বরের মেয়ে। সে চৌরাস্তা এলাকায় জাগরণী ফাউন্ডেশন নামে একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
আয়েশার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আয়েশা নামে এক শিশুকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাকে আমরা চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। এর ১০ মিনিটের মধ্যে শিশুটি মারা যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্যই শিশুটি মারা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আয়েশা মহিষেরচর এলাকা থেকে তার বাবার ভ্যানে করে স্কুলে যাচ্ছিল। স্কুলে যাওয়ার পথে শহরের চৌরাস্তা এলাকার মাতুব্বর এন্টারপ্রাইজের কাছে এলে পেছন থেকে দ্রুতগতিতে আসা মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাদা মাইক্রোবাস ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যানটি উল্টিয়ে আয়েশা নিচে চাপা পরে গেলে তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর সে মারা যায়। ঐ মাইক্রোবাসটি যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের, সেটা স্থানীয় একটি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাদারীপুর সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট লুবনা আহমেদ লুনা এ বিষয়ে বলেন, আমি ঐ গাড়িতে ছিলাম। কিন্তু আমাদের গাড়িতে ধাক্কা লাগেনি। ভ্যানটি সাইট দিতে গিয়ে উল্টে পরে যায়। আমরা অবশ্য পরে নেমে কাছে গিয়েছিলাম।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) চাইলাউ মারমা বলেন, সাদা একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কায় আয়েশা নামে এক শিশু মারা যাওয়ার কথা শুনেছি। তবে মাইক্রোবাসটিকে এখনো শনাক্ত করতে পারিনি। অভিযোগ পেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।