মিয়ানমারের বিমানবাহিনী প্রধানসহ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের ওপর তিন দেশের নিষেধাজ্ঞা
মিয়ানমারের ওপর নতুন করে যৌথ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা সরকার। মিয়ানমারের নতুন নিয়োগ পাওয়া বিমানবাহিনীর প্রধানসহ সামরিক কর্মকর্তা এবং অস্ত্র বাণিজ্যে জড়িতদের লক্ষ্য করে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বিরোধীদর ওপর দমনপীড়ন চালানোয় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মিয়ানমারের তিনজন অস্ত্র ব্যবসায়ী ও তাদের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানি এবং অস্ত্র ব্যবসায়ী ত জ নিয়ন্ত্রিত দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত বছর বড়দিনের আগে দক্ষিণপূর্ব কায়াহ রাজ্যে গাড়ির মধ্যে ৩০ বেসামরিক নাগরিককে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে যুক্তরাজ্য মিয়ানমারের বিমানবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। মিয়ানমারে গ্রামাঞ্চলে সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা হামলা চালানোয় বিমানবাহিনীর ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। মিয়ানমারের ওই বোমা হামলার ফলে লাখো মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়া হয়।
নিষেধাজ্ঞায় বিমানবাহিনী প্রধান জেনারেল তুন অং এর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। জেনারেল তুন অং মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মিয়ানমার ইকোনোমিক হোল্ডিংস লিমিটেডেরও (এমইএইচএল) পরিচালক পদে রয়েছেন।
অন্যদিকে, কানাডা শুরু থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে দেশটি। এবার বিমানবাহিনী প্রধান জেনারেল তুন অংসহ মিয়ানমারের চার ব্যক্তি এবং দুটি কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে মিয়ানমার।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে নেয় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। তবে দেশটির সিংহভাগ জনগণ বিষয়টি মেনে নেয়নি। রাস্তায় বিক্ষোভ, সরকারি কাজকর্ম বয়কটসহ সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে তারা। স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর তথ্য মতে, মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর সহিংসতায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।