ইভ্যালিকাণ্ডে মামলা : তাহসান-মিথিলা-শবনম ফারিয়াকে অব্যাহতি
ইভ্যালিকাণ্ডে দায়ের করা মামলায় সংগীতশিল্পী-অভিনেতা তাহসান খান, অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক আজ রোববার এ আদেশ দেন। এর আগে গত ২ মার্চ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাহসান, মিথিলা ও শবনমকে অব্যাহতি দিতে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। তাই, তাঁদের অব্যাহতি প্রদানে সুপারিশ করা হয়েছে। তবে, প্রতিবেদনে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার মুনশি মোহাম্মদ কামরুল এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মোহাম্মদ কামরুল বলেন, ‘ইভ্যালিকাণ্ডে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক গ্রাহকের করা মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণে তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়াসহ পাঁচ জনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তাই, তাঁদের অব্যাহতির আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। সে প্রতিবেদন আজ গ্রহণ করে বিচারক তাঁদের অব্যাহতি দিয়েছেন।
কামরুল বলেন, ‘অপরদিকে, ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল এবং তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। তাঁদের মামলা এখন বিচারের জন্য পাঠাতে হবে।’
নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের ২১ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয় জনের নামে মামলার আবেদন করেন সাদ স্যাম রহমান নামের ইভ্যালির এক গ্রাহক। মামলার পরে রাজধানীর ধানমণ্ডি থানাকে মামলার অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। এরপর গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ধানমণ্ডি থানা মামলার অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল, তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিন, আকাশ, আরিফ, তাহের ও মো. আবু তাইশ কায়েস।
গায়ক-অভিনেতা তাহসান খান ইভ্যালির শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। আর, মিথিলা ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ‘ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইল’ হিসেবে। প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন শবনম ফারিয়া। পরবর্তী সময়ে গত ২০ জানুয়ারি তাহসানের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা এবং ৬ ফেব্রুয়ারি অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া স্থায়ী জামিন পান। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর শবনম ফারিয়ার আট সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন উচ্চ আদালত। ওইদিন মিথিলাও আট সপ্তাহের জামিন পান।