কুষ্টিয়ায় নিখোঁজ মাদ্রাসাছাত্র, ফোনে মুক্তিপণ দাবি
কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের তিন দিনেও খোঁজ মেলেনি মাদ্রাসার ছাত্র নাঈমের। এদিকে লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে পরিবারের কাছে বারবার ফোন করছে অপহরণকারীরা।
গত ২৭ মার্চ রোববার বিকেলের পর থেকে নাঈমকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে গতকাল সোমবার কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার মা নাছরিন খাতুন।
টাকা না পেয়ে দিচ্ছেন নানান হুমকি-ধমকি। মোবাইলে পাঠাচ্ছেন ছেলেকে নির্যাতনের অডিও। এদিকে প্রিয় সন্তান ফিরে না আসায় পাগলপ্রায় বাবা-মা। ছেলেকে উদ্ধারে ঘুরছেন প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে। পুলিশ বলছে নাঈমকে উদ্ধারে পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে র্যাব সদস্যরাও।
কুষ্টিয়া শহরতলীর জুগিয়া মাঠপাড়া গ্রামের দিন মজুরের ছেলে মোঃ নাঈম(১৩)। সে পার্শবর্তী জুগিয়া পালপাড়া এলাকার লাল মোহাম্মদ হাফেজিয়া মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষার্থী। নাঈমের সাথে পরিবারের সদস্যদের সর্বশেষ সাক্ষাত হয় ২৭ মার্চ বিকেলে। এরপর থেকে তাকে কোথাও খুজে না পেয়ে পরদিন ২৮ মার্চ কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন নাঈমের মা নাছরিন খাতুন। তবে নিখোঁজের পর থেকেই মোবাইল ফোনে লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের কাছে। টাকা না পেয়ে দিচ্ছে নানা হুমকি-ধমকি। মোবাইল ফোনে পাঠাচ্ছে ছেলেকে নির্যাতনের অডিও ক্লিপ। বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণ হিসেবে কিছু টাকা দিয়েছেও তার পরিবার। সন্তান হারিয়ে শোকে পাগলপ্রায় মা-বাবা। তাই ছেলেকে উদ্ধারে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তারা।
নাঈমের মা মোছা. নাসরিন ও বাবা মিল্টন শেখ জানান, মুক্তিপণ দাবি করে ফোন করায় তারা চরম শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। ছেলেকে উদ্ধারে প্রশাসনসহ সবার কাছে সহযোগিতার আহ্বান তাদের।
এদিকে নাঈম নিখোঁজের পর থেকে আতঙ্কে রয়েছে তার মাদ্রাসার সহপাঠী ও শিক্ষকরাও।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ছাব্বিরুল আলম জানান, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নাঈম নিখোঁজের ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। তাকে উদ্ধারে পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছেন র্যাব সদস্যরাও।
কুষ্টিয়া র্যাব-১২ কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াডন লিডার মো. ইলিয়াস খান বলেন, মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত করে তাদের গ্রেপ্তার ও নাঈমকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছেন তারা।