টিপু হত্যাকাণ্ডে ১৫ লাখ টাকার চুক্তি হয় : র্যাব
রাজধানীর শাহজাহানপুরে এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে হত্যা করতে ১৫ লাখ টাকা বাজেট নির্ধারণ করেন পরিকল্পনাকারীরা। আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন মুসার ওপর দায়িত্ব আসে টিপুকে হত্যার। ঘটনার ১২ দিন আগে মুসা দুবাই চলে যান। সেখানে বসে তিনি ‘কিলার’ নিয়োগ করা থেকে শুরু করে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
আজ শনিবার দুপুরে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
টিপু হত্যাকাণ্ডে জড়িত উল্লেখ করে চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ও রয়েছেন। গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিরা হলেন—ওমর ফারুক (৫২), আবু সালেহ শিকদার (৩৮), নাছির উদ্দিন (৩৮) ও মোরশেদুল আলম (৫১)।
র্যাব ব্রিফিংয়ে জানায়, ২০১৩ সালে রাজধানীর গুলশান শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে মিল্কী হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিরা মিল্কীর সহযোগী ছিলেন। এ ঘটনার সঙ্গে টিপু জড়িত ছিলেন বলে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা সন্দেহ করতেন। তখন মিল্কী হত্যায় যে মামলা করা হয়েছিল, সেখানে এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন টিপু। কিন্তু, বিচারিক কার্যক্রমে তাঁর (টিপু) নাম বাদ পড়ে। যা গ্রেপ্তার হওয়াদের মনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
র্যাব আরও জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ভিকটিম ও হত্যার পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে বিরোধ ছিল। মতিঝিল এলাকার চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, স্কুল-কলেজের ভর্তি বাণিজ্য, বাজার নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার নিয়েও তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছিল। আর, এসব দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করেই টিপুকে হত্যা করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে, গত ২৪ মার্চ রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় দুষ্কৃতকারীর গুলিতে জাহিদুল ইসলাম টিপু নিহত হন। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে একজন কলেজছাত্রী নিহত হন। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি পরদিন ২৫ মার্চ শাহজাহানপুর থানায় ৩০২/৩৪/৩২৬/৩০৭ ধারায় একটি মামলা (মামলা নম্বর ১৮) করেন।