অভিনেত্রী শিমু হত্যা : তদন্ত প্রতিবেদন ১৯ মে
অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৯ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ইয়াসমিন এই দিন ধার্য করেন। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচারক নতুন দিন ধার্য করেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আনোয়ারুল কবির বাবুল এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ মামলার দুই আসামি শিমুর স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তাঁর এস এম ওয়াই বন্ধু আব্দুল্লাহ ফরহাদ আদালতে স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
গত ১৮ জানুয়ারি অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কেরাণীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিও করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন রাইমা ইসলাম শিমুর বড় ভাই হারুন অর রশিদ।
গত ১৬ জানুয়ারি সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন রাইমা ইসলাম শিমু। ওই দিন রাতেই কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল। জিডিতে নোবেল দাবি করেন, ‘গত ১৬ জানুয়ারি আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায় শিমু। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত (জিডি করার সময় পর্যন্ত) বাসায় ফেরেনি। তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।’
এরপর ১৭ জানুয়ারি সোমবার দুপুরের দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের আলিয়াপুর ব্রিজের নিচ থেকে রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর শিমুর স্বামী নোবেল ও ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তারা হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বলে দাবি করে পুলিশ।