তিন দাবি নিয়ে গণভবনের দিকে সোহেল তাজ পদযাত্রা করবেন আগামী রোববার। এদিন বিকেল ৪টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে গণভবনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন তিনি।

সোহেল তাজের দাবিগুলো হলো—১০ এপ্রিলকে প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণা, ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সোহেল তাজ এসব তথ্য তুলে ধরেন। এ উদ্যোগ তাঁর একান্তই নিজের উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘আপনারা কেউ যোগ দিতে চাইলে আসতে পারেন, আর না এলে আমি একাই যাব।’

সোহেল তাজের পেজের লেখাটি নিচে হুবহু দেওয়া হলো—

‘আমার প্রতিবাদ কর্মসূচি

আগামী ১০ এপ্রিল ২০২২, রোববার বিকেল ৪টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে (দক্ষিণ দিকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সংলগ্ন) আমি অবস্থান নেব।

জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে (মানিক মিয়া এভিনিউ) বিকেল ৪টায় গণভবনের উদ্দেশে হেঁটে যাত্রা শুরু করব।

আমার দাবি

১. যেহেতু ১০ এপ্রিল, ১৯৭১-এ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে এই দিনে। তাই, এই দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে।

২. ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।

৩. জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান, জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

এটা একান্তই আমার নিজের উদ্যোগ। আপনারা কেউ যোগ দিতে চাইলে আসতে পারেন, আর না এলে আমি একাই যাব। জয় বাংলা।’