এ বছর জনপ্রতি ফিতরা সর্বনিম্ন ৭৫, সর্বোচ্চ ২৩১০ টাকা
এ বছর রমজানে বাংলাদেশে ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বাধিক দুই হাজার ৩১০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে আজ শনিবার বেলা ১১টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি এবং বায়তুল মোকাররমের জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
বৈঠক শেষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি জানান, ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী মুসলমানেরা সামর্থ্য অনুযায়ী আটা, কিসমিস, খেজুর, গম, পনির, যব ইত্যাদির যেকোনো একটির নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করতে পারবেন।
উন্নতমানের আটা বা গম দিয়ে ফিতরা আদায় করলে এক সা’ বা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৭৫ টাকা প্রদান করতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৩০০ টাকা, কিসমিসে আদায় করলে এক সা’ বা তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য এক হাজার ৪২০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য এক হাজার ৬৫০ টাকা এবং পনির দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ৩১০ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।
দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, গম, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এ ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানেরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপর্যুক্ত পণ্যগুলোর যেকোনো একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন।
উপর্যুক্ত পণ্যগুলোর স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।
সভায় মদিনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আব্দুর রাজ্জাক আল আযহারী, মালিবাগের জামিয়া শরীয়াহ’র মুহাদ্দিস মুফতি আবদুস সালাম, মোহাম্মদপুরের কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, যাত্রাবাড়ী জামিয়া মাদানিয়া’র সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা শায়খ আবু নোমান আল মাদানী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আনিসুজ্জামান সিকদার, মো. আনিছুর রহমান সরকার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সম্পাদক ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস ড. মুফতি ওয়ালীয়ুর রহমান খান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারী, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ মহিউদ্দিন কাসেমসহ বিশিষ্ট ওলামায়ে-কেরামেরা উপস্থিত ছিলেন।