ভৈরবে ৮০০ এতিম ও বিধবা মাকে ইফতার সামগ্রী বিতরণ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ৮০০ এতিম ও বিধবা মায়ের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে শহরের চণ্ডীবর হাজি আসমত আলী এতিম বালিকা শিশু পরিবার চত্বরে এই ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা কাতার চ্যারেটির অর্থায়নে ও নভেল অর্গানাইজেশন ফর রুরাল রিফর্মসে (নর) পরিচালনায় এই ইফতার সামগ্রী বিতরণ হয়।
বিতরণকৃত ইফতার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল ২৫ কেজি, তেল পাঁচ লিটার, খেঁজুর এক কেজি, ছোলা তিন কেজি, ডাল তিন কেজি, চিনি দুই কেজি, লবণ এক কেজি করে মোট ৪০ কেজি।
দেশের সর্ববৃহৎ মেয়েদের এতিমখানা হাজি আসমত আলী এতিম বালিকা শিশু পরিবার ও জোবায়দা ওয়াজির শিশু সদনের (এতিমখানা) ৮০০ জন এতিম ও বিধবা মায়ের মধ্যে ইফতার সামগ্রী তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র আলহাজ ইফতেখার হোসেন বেনু. কাতার চ্যারিটির কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. অমিন হাফিজ ওমর।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাতার চ্যারেটির প্রজেক্ট ইনচার্জ মো. জসীম চৌধুরী, হাজি আসমত আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আহমেদ আলী, রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ, বদরুজ্জামান বাদল, পৌর কাউন্সিলর হাজি মো. মনির হোসোন, হাজি আসমত আলী এতিম বালিকা শিশু পরিবারের প্রধান সমন্বয়কারী মাহিন সিদ্দিকী, ভাইস-চেয়ারম্যান পাপিয়া সিদ্দিকী প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে আলোচনা সভায় অংশ নেন অতিথিরা। এ সময় তারা বলেন, পবিত্র রমজান মাস আত্মশুদ্ধি আর ইবাদতের মাস। এ মাসে ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি বেশি বেশি নফল ইবাদতসহ দান-খয়রাত করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। দান-খয়রাতের অন্যতম ভাগিদার হলো ইয়াতিম-মিসকিন। তাই যার যার সাধ্যানুয়ায়ী ভৈরববাসীর উচিত এই দুটি এতিমখানায় দান করা।
সুদূর কাতারের লোকজন যদি এই এতিমদের জন্য সাহায্য পাঠাতে পারেন, সেখানে আমাদের দেশের সামর্থ্যবানরা কেন পিছিয়ে থাকবেন? সমাজের প্রতিটি সামর্থ্যবান মানুষের উচিত, এই এতিমদের সাহায্যে এগিয়ে আসা। আলোচনা শেষে দেশ ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।