ঈদযাত্রায় ভোগান্তির আরেক নাম হতে পারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক
কয়েক দিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। এরই মধ্যে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে একটু একটু করে দেখা দিচ্ছে যানজট ও জনদুর্ভোগ। সেইসঙ্গে মহাসড়কে চলছে উন্নয়নকাজ। তাই, আসন্ন ঈদের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি বাড়ার আশঙ্কা করছেন গাড়িচালক ও যাত্রীরা।
তবে, পুলিশ ও গাড়ি মালিক সমিতি বলছে—যানজট নিরসনে রয়েছে যথেষ্ট প্রস্তুতি।
ঈদ মানেই নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা। টানা কয়েক দিনের ছুটি। নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে চান সবাই। কিন্তু, কতটা সচ্ছন্দে রাজধানী থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ধরে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ ঘরে ফিরতে পারবে এবারের ঈদের আগে, সেটি এখন ভাবনার বিষয়। কেননা, ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, মহাসড়কের যানজট যেন বেড়েই চলেছে। এর মধ্যেই চলছে মহাসড়ক উন্নয়নকাজ।
সাধারণত বছরের এমন সময়ে, ঢাকা থেকে আরিচায় যাত্রী পরিবহণ পৌঁছাতে যে সময় লাগে, তার চেয়ে এবারের ঈদের ছুটিতে সময় লাগতে পারে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা বেশি। তাতে ভোগান্তির সম্মুখীন হতে পারে যাত্রীরা। এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন পরিবহণ চালকেরা।
প্রতি বছরের মতো এবারও এ মহাসড়কে নামানো হতে পারে ফিটনেসবিহীন যাত্রী পরিবহণ। ধারণা করা হচ্ছে, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে শুধু মানিকগঞ্জে অবস্থিত কারখানা থেকেই প্রায় দেড়শ পুরোনো বাস নতুন রঙ করে নামানো হতে পারে। তাই, কতটুকু স্বস্তির যাত্রা হবে ঈদে ঘরমুখো মানুষের, সেটিই দেখার বিষয়।
এদিকে, গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে পরিবহণের বেশ ক্ষতি যেমন হয়েছে, ঠিক তেমনি পরিবহণ শ্রমিকদেরও ক্ষতি হয়েছে। তবে, এবার মহাসড়কে উন্নয়নকাজ চললেও তা তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে ধারণা করছেন মানিকগঞ্জ পরিবহণ মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা। তাঁরা বলছেন, প্রতিবারের মতো এবারও তাঁদের পুলিশের সঙ্গে থেকে কাজ করার যথেষ্ঠ প্রস্তুতি রয়েছে।
অপরদিকে, মানিকগঞ্জের বারোবাড়ীয়া থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার মো. গোলাম আজাদ খান। প্রায় এক হাজার পুলিশ সদস্য মহাসড়কে মোতায়েন করা হবে বলে জানান তিনি।
এ ছাড়া যে সব গাড়ির কাগজপত্র নেই, অর্থাৎ ফিটনেসবিহীন গাড়ি, সেগুলোকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।