‘নো বল’ উত্তেজনার পর মুস্তাফিজদের হতাশা
শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩৬ রান, যা এক প্রকার অসম্ভবই ছিল। কিন্তু, সে অসম্ভব কাজটিই প্রায় সম্ভব করে ফেলছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের রভম্যান পাওয়েল।
প্রথম তিন বলে তিন ছক্কা হারিয়ে সমীকরণ মেলানোর পথে হাঁটছিলেন পাওয়েল। কিন্তু, ওভারের তৃতীয় বলটি রভম্যানের কোমরের উচ্চতায় উঠে গেলেও ‘নো’ বল ডাকেননি আম্পায়ার। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় দিল্লি ক্যাপিটালসের ডাগআউটে। কিন্তু, সে উত্তেজনায় জল ঢেলে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসে রাজস্থান রয়্যালস।
আইপিএলে গতকাল শুক্রবার রান উৎসবের ম্যাচে দিল্লিকে ১৫ রানে হারিয়েছে রাজস্থান। ব্যাট হাতে ১১৬ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন জস বাটলার।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের ষোড়শ ওভারে ৯৯ থেকে ডাবল নিয়ে বাটলার তিন অঙ্কে পা রাখেন মাত্র ৫৭ বলে। ইনিংসে ছিল ৮টি ছক্কার সঙ্গে চারও ৮টি। টানা দ্বিতীয় এবং চলতি আসরে তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি এটি।
এদিন দিল্লির বোলারদের মেরে রীতিমতো তুলোধোনা করেছেন বাটলার। বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান খেলেন দিল্লি ক্যাপিটালসে, তিনিও বাদ যাননি। তবে, দলের বাকি বোলারদের তুলনায় মুস্তাফিজই কিছুটা ভালো বোলিং করেছেন। শেষে, সেই বাটলারের উইকেট তিনিই পেয়েছেন।
বাটলারের ইনিংসে ভর করে ২২২ রানের পুঁজি পায় রাজস্থান। এ রান তাড়া করতে নেমে ২০৭ রানে গিয়ে থামে দিল্লি।
তবে, শেষ ওভারের ঘটনাটি নজরে আসে সবার। তৃতীয় বলটি আম্পায়ার ‘নো বল’ না ডাকায় ক্ষুব্ধ হন ডাগআউটে থাকা দিল্লির খেলোয়াড়েরা। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, ব্যাটসম্যানের কোমরের উচ্চতায় ছিল বলটি। বলঠি ‘নো’ ডাকেননি মাঠের আম্পায়ার। এমনকি তৃতীয় আম্পায়ারের কাছেও পাঠানো হয়নি দেখার জন্য।
এতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন দিল্লির অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। একপর্যায়ে দুই ব্যাটসম্যানকে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসার ইশারাও করেন তিনি বেশ কয়েক বার। তবুও বদলায়নি আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত।
শেষ পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যান পাওয়েলরা। তবে, এ ঘটনার মধ্যে নিজের ছন্দ হারিয়ে ফেলেন পাওয়েল। তাতে শেষ সমীকরণ আর মেলাতে পারলেন না তিনি। হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে।