ঈদে পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ২৪ ঘণ্টা ফেরি চলাচল করবে
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশ পথ বলে পরিচিত শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌরুট। এ ঘাটে পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহন কীভাবে নিরাপদে পারাপার করা যাবে, সেই লক্ষ্যে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জানানো হয়, যাত্রীবাহী যানবাহন পারাপারের জন্য ফেরি পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ২৪ ঘণ্টা চলাচল করবে। অতিরিক্ত ভাড়া গ্রহণ ও যাত্রীদের টানাহেচড়া করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে। ঘাট এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে শিমুলিয়াঘাটের বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজার বেইজের হল রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শিলু রায়ের সঞ্চালনায় এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শিলু রায় জানান, সভা থেকে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে যাত্রীরা ভোগান্তিহীন ও নির্বিঘ্নে ফেরি পারাপার হতে পারে। অতিরিক্ত ভাড়া গ্রহণ ও যাত্রীদের টানাহেচড়া করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে। ঘাট এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রজেক্ট ম্যানেজার ও নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, যাত্রীবাহী যানবাহন পারাপারের জন্য ফেরি পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ২৪ ঘণ্টা পারাপার করবে, তবে সতর্কতা নিয়ে।
জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানান, তিন শতাধিক পুলিশ তিন শিফটে শিমুলিয়াঘাটে ঈদের আগে ও পরে দায়িত্বে থাকবে। পুলিশ কন্ট্রোলরুম থাকবে। তারা সার্বক্ষণিক ঘাট এলাকা মনিটরিং করবে এবং অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।
এ সময়ে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল আউয়াল, শিমুলিয়া নদী বন্দরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসাইন, বিআইডব্লিউটিসির এজিএম শফিকুল ইসলাম, মাওয়াঘাট নৌপুলিশের ইনর্চাজ আবু তাহের মিয়া, লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি আতাউর রহমান আতাহার ব্যাপারী, বিশিষ্ট পরিবহণ ব্যবসায়ী ও আ.লীগ নেতা আলী আকবর হাওলাদার, মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজি আশরাফ হোসেন, কুমারভোগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান তালুকদার, স্পিডবোট ঘাটের ইজারাদার সালাউদ্দিন আহম্মেদ, ফেরিঘাট ও ট্রলার ঘাটের ইজারাদার হানিফ মাদবরসহ ঘাট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।