বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে অপতথ্য-সেন্সরশিপ
নতুন একটি প্রতিবেদনে রুশ সরকারসহ বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে—বিশ্বব্যাপী অপতথ্য এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারণা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী স্বাধীন সংবাদের ওপর অত্যন্ত বিরূপ প্রভাব ফেলছে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
মঙ্গলবার প্রকাশিত গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে (ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০২২) প্যারিস-ভিত্তিক রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) বলেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ঘটনা অনেক ভুয়া খবর ও প্রচারণার অবতারণা করেছে।
আরএসএফ-এর বার্ষিক প্রতিবেদনে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশের ভিত্তিতে ১৮০টি দেশের তালিকা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ১৮০টি দেশের তালিকায় অনেক নিচের দিকে (১৬২তম) অবস্থানে রয়েছে। গত বছরের তালিকায় বাংলাদেশ ছিল ১৫২তম অবস্থানে। এক বছরে বাংলাদেশের অবনতির অন্যতম কারণ হিসেবে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-এর অপব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।
ভয়েস অব আমেরিকা বলছে—গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে রেকর্ডসংখ্যক ২৮টি দেশকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পরিস্থিতি ‘খুব খারাপ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এ গোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে চীন, যারা তাদের দেশের বাইরেও সেন্সরশিপ ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার বিধ্বংসী যুদ্ধে ক্রেমলিনের অপপ্রচারকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।
এ বছর আরএসএফ বলেছে—তারা একটি নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করেছে। এ পদ্ধতিতে প্রতিটি দেশের রাজনৈতিক, আইনি, অর্থনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির মতো বিষয়গুলো একত্রিত করে নিরীক্ষা করা হয়েছে ।
জার্নালিজম ওয়াচডগ গ্রুপটি বল—প্রতিবেদনের ফলাফল উদ্বেগজনক; কারণ, দেশগুলোতে গণমাধ্যমের মধ্যে গভীর বিভাজন দেখা যাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক স্তরে দেশগুলোর মধ্যে বিভাজন রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে আরএসএফ-এর ডেপুটি ডিরেক্টর ক্লেটন ওয়েইমারস, ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেছেন, ‘সত্যিই অনস্বীকার্য যে, গণমাধ্যমের মেরুকরণ এবং তথ্য বিশৃঙ্খলা ২০২২ সালে এসে এমনভাবে সামাজিক বিভাজনে ইন্ধন জোগাচ্ছে, যা বেশ নতুন।’ তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে খাঁটি সাংবাদিকতার জায়গা দখল করেছে পক্ষপাতমূলক সংবাদের প্রসার।