বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘এই রকম অবস্থা থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে লড়াই করে বিজয়ী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। আর সেই লড়াই হতে হবে ঐক্যবদ্ধ। যাঁরাই এই সরকারের পরিবর্তন চান, যাঁরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ, জনগণকে জবাবদিহিতার মধ্যে এবং জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চান—তাঁরা সবাই একসঙ্গে লড়াই করে এটা সম্ভব করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি আজ হোক, কাল হোক, এটা হবে ইনশাল্লাহ।’

আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় দেশের অর্থনৈতিক চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে নজরুল ইসলাম খান এ কথা বলেন। বাংলাদেশ লেবার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবদুল মতীনের ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন চাই’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের এই বিশাল ঋণ শোধ করতে হবে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন যে, শুধু সাপ্লায়ার্স ক্রেডিটে যে পরিমাণ ঋণ আমরা নিয়েছি, সেই ঋণের শোধ দেওয়া শুরু হবে ২০২৫ সাল থেকে এবং তার পরিমাণ বিলিয়নস অব ডলার। তখন কোথায় যাবো আমরা?’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের আমদানি বাড়ছে, রপ্তানি কমছে, রেমিট্যান্স কমছে। আর ঋণের বোঝা বাড়ছে, ঋণ শোধ দেওয়ার সময় আসছে।’ 

বিদেশি ঋণে মেগা প্রকল্পের নামে অর্থ পাঁচার হচ্ছে অভিযোগ করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘০বিদেশি ঋণ নিয়ে সমস্ত মেগা প্রজেক্ট, সেখানে দুর্নীতি-অনাচার করে কানাডায় বেগমপাড়া, সুইস ব্যাংকে টাকা, সেকেন্ড হোম ইত্যাদি সমানে হচ্ছে। হাজার হাজার কোটি বিদেশে পাঁচার হচ্ছে।’

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমানের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখন জামায়াতে ইসলামীর মোবারক হোসাইন, গণঅধিকার পরিষদের ভিপি নুরুল হক নুর, এনডিপির কারী আবু তাহের, ইসলামী ঐক্যজোটের অধ্যাপক আবদুল করীম, মুসলিম লীগের কাজী আবুল খায়ের, মানবাধিকার সংরক্ষণ সংস্থার অ্যাডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই, লেবার পার্টির মোসলেম উদ্দিন, আবদুর রহমান খোকন, হুমাউন কবীর, খোন্দকার মিরাজুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, ছাত্রমিশনের সৈয়দ মো. মিলন, শরিফুল ইসলাম, যুবমিশনের মো. শওকত চৌধুরী প্রমুখ।