নড়াইলে চুরির অভিযোগে দুই যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামে চুরির অভিযোগে দুই যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নির্যাতনের শিকার দুই যুবক একই গ্রামের আ. রশিদ শেখ এর ছেলে ফরিদ শেখ ও আ. রউফ শেখ এর ছেলে তরিকুল ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার (১৫ মে) সকালে ইউপি সদস্য কালামসহ ৬-৭ জন মিলে ওই দুই যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে স্থানীয় একটি দোকানের সামনে গাছের সঙ্গে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন চালায়। এসময় তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেটের আগুন দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়।
নির্যাতনের শিকার ফরিদ শেখ বলেন, একই গ্রামের জনপ্রতিনিধি কোটাকোল ইউপি সদস্য (জাফর মুন্সীর ছেলে) কালাম মুন্সি আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর বোচা শেখের ছেলে নান্নুর দোকানের পাশে গাছের সাথে আমাকে ও তরিকুলকে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেটের আগুন দিয়ে ছ্যাঁকা দেয়। মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের ইছহাক মুন্সির ছেলে আজমল মুন্সী (৪৫), জাফর মুন্সীর ছেলে বর্তমান ইউপি সদস্য কালাম মুন্সী (৩০), জহুর মুন্সির ছেলে কোরবান (৩৫), বোচা শেখের ছেলে বেলায়েত শেখ (৫০) ও নান্নু শেখ (৪০) সহ ৬-৭ জন মিলে নির্যাতন করে। এ ঘটনার নেতৃত্ব দেয় ওই ইউপি সদস্য কালাম মুন্সী।
উল্লেখ্য, আজমল মুন্সি একটি হত্যা মামলা ও দুদকের ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার আসামি।
নির্যাতনের শিকার তরিকুল ইসলাম বলেন, ছাগল চুরির মিথ্যা অভিযোগে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেছে এবং আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেটের আগুন দিয়ে ওরা ছ্যাঁকা দিয়েছে। বর্তমানে আমি লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। আমরা ওদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
এঘটনায় ওই ইউপি সদস্য কামালের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। তাদের গাঁজা খেতে নিষেধ করে ছেড়ে দেই।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।