নায়িকা হতে পারেননি বলে কি আফসোস হয় মিমির?
নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আফসানা মিমি। সে সময় অনেক সুযোগ ছিল বাণিজ্যিক সিনেমার নায়িকা হওয়ার। কিন্তু কেন হননি, কেনই বা থিয়েটার, ছোট পর্দা আর আর্ট ফিল্মে মনোযোগ ছিল তাঁর?
গতকাল সোমবার ‘পাপ পুণ্য’ সিনেমার মুক্তি উপলক্ষে চ্যানেল আইয়ের নিজস্ব স্টুডিওতে সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রশ্নের উত্তর দেন অভিনয়শিল্পী আফসানা মিমি।
নব্বই দশকে অনেক সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন আফসানা মিমি। কিন্তু কেন নায়িকা হননি, সে জন্য কি তাঁর এখন আফসোস হয়? উত্তরে মিমি বলেন, “আমার শুরুটা ছিল ১৯৯২ সালে। যেটাকে আমরা কমার্শিয়াল ফিল্ম বলি, আজিজুর রহমান, খুব বিখ্যাত ডিরেক্টর। ছোটবেলায় তাঁর ‘ছুটির ঘণ্টা’ দেখেছি। তাঁর একটি সিনেমা ‘দিল’। ‘দিল’ আসলে বোম্বের একটি গল্পের রিমেক—সর্ট অব থিং। ওখানে নাঈম ছিল, শাবনাজ ছিল, শবনম আপা ছিলেন আর আমি ছিলাম। সেখানে আমার ক্যারেক্টার ছিল, যেটাকে সেকেন্ড নায়িকা বলে বা স্যাক্রিফাইসিং রোল বলে, সে রকম। ওইটা ছিল হঠাৎ একটা অফার পেয়ে এক্সপেরিমেন্টাল কাজ। ওটা হওয়ার পরে আমার কাছে অনেক অফার ছিল যে আমি ফিল্মে কাজ করব কি না।”
আফসানা মিমি যুক্ত করেন, ‘আমি আসলে নিজেকে কমার্শিয়াল ফিল্মের জন্য কখনওই ঠিক... আমি আসলে নিজেকে কখনও নায়িকা মনে করিনি। কারণ, নায়িকার যে গুণগুলো থাকতে হয়, সেগুলো আমার মধ্যে ছিল না। আমি নাচতে পারতাম না, আমার শরীরের মধ্যে কোনও রিদম সেন্স নেই এবং আমি ফাইটিং জানি না। তখন আমি অনেক বেশি ফোকাসড ছিলাম থিয়েটারে এবং আমার টেলিভিশন নাটকে। তার পরে আমি অনেক আর্ট হাউস ফিল্মে কাজ করেছি।’
দেখুন পুরো সাক্ষাৎকার
ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত ‘পাপ পুণ্য’ ২০ মে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় একযোগে মুক্তি পাচ্ছে। সিনেমাটিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, আফসানা মিমি, ফজলুর রহমান বাবু, ফারজানা চুমকি, শাহনাজ সুমি, মামুনুর রশীদ, গাউসুল আলম শাওন প্রমুখ।
২০১৯ সালের ২৬ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর মোট ৩৪ দিনে শুট শেষ হয় ‘পাপ পুণ্য’ সিনেমার। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়ার পর বিনা কর্তনে ছাড়পত্র পায়।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয়েছে, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের ১১২টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘পাপ পুণ্য’। এখন পর্যন্ত দেশের ৮টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি নিশ্চিত হয়েছে, ২০ মে পর্যন্ত বাড়তে পারে আরও কিছু প্রেক্ষাগৃহ।