তামিমের সঙ্গে মুশফিকের মধুর প্রতিযোগিতা
অবশেষে যখন মুহূর্তটি এল, তখন তিনি শট থেকে সরে আসেন। চট্টগ্রামে এটি খেলার প্রথম ঘণ্টা ছিল, যেখানে তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির বেশি। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট রান ৫০০০ ছুঁতে ১৫ রান দরকার তখন। অপেক্ষায় ছিলেন মুশফিকুর রহিম। কীভাবে তামিম ইকবালকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন তা নিয়ে। এর আগে তৃতীয় দিন বিকেলে তামিম ১৩৩ রান করে অবসরে যান। পরবর্তীতে অবশ্য ব্যাট করতে নেমেছিলেন।
কিন্তু ৪৭ বল মুখোমুখি হওয়ার পর আসিথা ফার্নান্দোর একটি ডেলিভারি মুশফিকের গ্লাভসে লেগে উইকেটরক্ষকের পাশ দিয়ে চলে যায়। যখন তিনি দুই রান করেছিলেন, তখন পশ্চিম দিকের বড় পর্দায় ঘোষণা করা হয় মুশফিক সেঞ্চুরি করেছেন।
৫০০০ রানের মাইলফলক অনেক আগেই হয়ে গেছে। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের বয়স মাত্র ২০ বছর। এই দেশের প্রেক্ষাপটে, এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্জনই বলা যায়। ৮১ টেস্ট খেলে এই অর্জন ঝুলিতে পুরেন তিনি।
নিজের সাফল্য নিয়ে মুশফিক বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে ড্রেসিংরুমে কেক কাটছিলাম। আমি জয়কে এক টুকরো খাওয়ালাম। আমি তাকে বলেছিলাম, তুমি এখন সবচেয়ে কম বয়সী ব্যাটসম্যান। আশা করি তুমি ১০,০০০ রান করবে। আশা করি তরুণ খেলোয়াড়রা আমাদের চেয়েও দ্বিগুণ রান করবে। এটি দুর্দান্ত অনুভূতি। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে ৫০০০ রান করেছি।’
দ্বিতীয় দিনে পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও মুশফিক তামিমকে ছুঁয়ে ফেলেন। কিন্তু তৃতীয় দিন বিকেলে তামিম ১৩৩ রান করেন। তামিমের এখন সংগ্রহ ৪৯৮১ রান। তামিমের প্রশংসায় উদার ছিলেন মুশফিক।
এ সম্পর্কে মুশফিক বলেন, ‘রেকর্ডগুলো ভাঙার জন্যই হয়। তামিম যখন আমার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রেকর্ড ভেঙেছিল, তখন আমি খুব খুশি হয়েছিলাম। সে তখন আমাকে বলেছিল, আগামী দুই বা তিন বছরের মধ্যে, আমি আবার তার রেকর্ড ভাঙব।’
মুশফিক আরও বলেন, ‘সে (তামিম) আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। যখন একজন ভাই, সতীর্থ বা বন্ধু কিছু অর্জন করে তখন আমরা খুশি হই।’