সাদাস্রাব থেকে পরিত্রাণের উপায়
অনেক নারীই সাদাস্রাবের সমস্যায় ভোগেন। ওধুষপথ্যেও কমে না। এতে অস্বস্তিতে ভোগেন তাঁরা। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে এ বিষয়ে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ডা. আফরোজা খানম। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সাদিয়া ফাতেমা কবির।
ঠিক কোন স্টেজকে আমরা সাদাস্রাব বলব? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. আফরোজা খানম বলেন, নরমাল ভ্যাজাইনাল একটা সিক্রেশন থাকেই। ওটা থাকবেই। ওই জায়গাটা কখনও ড্রাই হবে না... আমাদের মুখ যদি শুকনো হতো, তাহলে তো আমরা কথা বলতে পারতাম না। এমনকি আমরা খেতেও পারতাম না, ঢোক গিলতে পারতাম না। তেমনই স্বাভাবিকভাবে মাসিকের রাস্তা ভেজা থাকবে।
ডা. আফরোজা খানম আরও বলেন, দুই মাসিকের মাঝামাঝি সময়ে যখন ওভুলেটেড পিরিয়ড, তখনও তার সাদাস্রাব থাকবেই। এটাই নরমাল। কিন্তু সাদাস্রাবের সাথে যদি ইচিং হয়, চুলকাচ্ছে অনেক বেশি বা এটার সাথে রক্তও যাচ্ছে, অথবা সাদাস্রাবের সাথে পানির মতো তরল বেশি পরিমাণে যাচ্ছে, সেই সঙ্গে দুর্গন্ধ; তখন আমরা এ বিষয়ে ভাবব। এমন লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
সাদাস্রাবের ক্ষেত্রে কী কী চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. আফরোজা খানম বলেন, সাদাস্রাবের ক্ষেত্রে সব জায়গায়ই চিকিৎসা আছে। সাদাস্রাবের সঙ্গে কিছু লক্ষণ থাকতে হবে, যেমন তার অতিরিক্ত চুলকানি হচ্ছে, সেটা ভালো হচ্ছে না; দুর্গন্ধ, রক্ত যাচ্ছে—এগুলো হলে অবশ্যই তাকে চেক করতে হবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে তাকে যেতে হবে এবং জরায়ুর মুখটা তাকে দেখতে হবে। চেক না করে দেখলে অনেক সময় বোঝা যায় না। আন্দাজে ট্রিটমেন্ট দিয়ে দিলে হয় না। হাজব্যান্ড-ওয়াইফ দুজনকেই চিকিৎসা দিয়ে থাকি আমরা। সে জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
সাদাস্রাবের সমস্যা ও এর প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।