শিরিন মাজারিকে মুক্তির নির্দেশ ইসলামাবাদ হাইকোর্টের
পাকিস্তানের মানবাধিকারবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী শিরিন মাজারিকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। গতকাল শনিবার হাইকোর্ট শিরিনকে মুক্তির নির্দেশ দিয়ে সরকারকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে বলেছেন। পাকিস্তানের গণমাধ্যম দ্য ডন ও জিও টিভি এ তথ্য জানিয়েছে।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা শিরিনকে গতকাল গ্রেপ্তার করার কয়েক ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১১টায় আদালত এ আদেশ জারি করেন। এর আগে শিরিন মাজারির মেয়ে অভিযোগ করে বলেছিলেন, শনিবার সকালের দিকে পুলিশ তাঁর মাকে ইসলামাবাদের বাসভবন থেকে মারধর করে তুলে নিয়ে গিয়েছিল।
এদিকে, শুনানির শুরুতে মাজারি আদালতকে বলেন, ‘আমাকে মোটরওয়েতে এক ঘণ্টার জন্য থামানো হয়েছিল। একজন পুরুষ চিকিৎসক আমার ডাক্তারি পরীক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন। তাদের সঙ্গে কোনো নারী কর্মকর্তা ছিলেন না। তবে পাঞ্জাবের দুর্নীতি দমন কর্মকর্তারা ছিলেন। তারা ফোনে নির্দেশনা শুনছিলেন। আমার ব্যাগটিও ওয়ারেন্ট ছাড়াই তল্লাশি করা হয়েছে। আমার ফোনটি এখনও আমাকে ফেরত দেওয়া হয়নি।’
মাজারি আরও বলেন, ‘আমার বয়স ৭০ এবং আমি অসুস্থ। তারপরও আমাকে নির্যাতন করা হয়েছে।’
শিরিন মাজারিকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে ব্যাপারে পুলিশ কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। ডন এবং অন্যান্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, জমিজমাসংক্রান্ত কারণে তাঁকে গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এ ব্যাপারে চলতি বছরের মার্চে একটি মামলা হয়েছে।
ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘এটা কীভাবে সম্ভব যে, মাজারিকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য কেউ জানে না।’
আতহার মিনাল্লাহ আরও বলেন, ‘পাকিস্তানে জোরপূর্বক গুমের ঘটনা ঘটে। এসব বিষয়ে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয় না। সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকলে এসব ঘটনা ঘটে। প্রতিটি সরকারই সংবিধান লঙ্ঘনের ব্যাপারে জঘন্য আচরণ করে।’
মাজারির মেয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেওয়ার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেছিলেন। আদালত তাঁর অনুরোধ মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি, তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত মাজারিকে মুক্তি দিতে নির্দেশ দেন।