জেলেনস্কির সঙ্গে পুতিনের সরাসরি আলোচনা চায় ফ্রান্স ও জার্মানি
যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সরাসরি ও ফলপ্রসূ আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্স ও জার্মানির নেতারা। গতকাল শনিবার জার্মান চ্যান্সেলর অফিস এ কথা জানায়।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ৮০ মিনিট ফোনে কথা বলেছেন।
জার্মান চ্যান্সেলর অফিস জানায়, দুই নেতা রুশ প্রেসিডেন্টকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার নিয়েও কথা বলেন।
ক্রেমলিন জানায়, দুই নেতার সঙ্গে আলোচনায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, কিয়েভের সঙ্গে পুনরায় সংলাপ শুরু করার জন্য মস্কো প্রস্তুত রয়েছে। তবে জেলেনস্কির সঙ্গে পুতিনের সরাসরি বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে কোনো কিছু উল্লেখ করেনি ক্রেমলিন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর থেকে দুই দেশের আলোচকেরা কয়েক দফা সরাসরি ও ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করেছেন। তবে, এখন আলোচনায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
পুতিনের কাছে ফ্রান্স ও জার্মানির নেতাদের পক্ষ থেকে ইউক্রেনের মারিউপোল শহরের আজভস্তাল ইস্পাত কারখানা থেকে আটক আড়াই হাজার ইউক্রেনীয় সেনার মুক্তির আহ্বান জানানো হয়।
আজভস্তাল ইস্পাত কারখানাটি ছিল ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের মারিউপোল শহরের ইউক্রেনীয় সেনাদের লুকানোর শেষ আশ্রয়স্থল। এ কারখানা লক্ষ্য করে ক্রমাগত বোমাবর্ষণ করে রুশ সেনারা। এখন সেটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
এ মাসের শুরুতে মস্কোর কর্মকর্তারা দাবি করেন, ওই ইস্পাত কারখানার সব সেনা আত্মসমর্পণ করেছেন। তবে, জেলেনস্কি বলেন, ওই সেনাদের ইস্পাত কারখানা ছাড়তে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় ফ্রান্স ও জার্মানির নেতারা ইউক্রেনের ওদেসা বন্দরকে উন্মুক্ত করে দেওয়ার আহ্বান জানান। এতে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি করার সুযোগ হবে।
ক্রেমলিন বলেছে, ওই নেতাদের পুতিন বলেছেন, মস্কোর পক্ষ থেকে বৈশ্বিক খাদ্য সমস্যার ঝুঁকি এড়াতে সাহায্যের বিষয়ে বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তিনি এ জন্য পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি করেছেন।