জাতীয় চা দিবস আজ, রপ্তানি বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ
আজ শনিবার জাতীয় চা দিবস উদ্যাপন করছে সরকার। বাগানের সংখ্যা ও চা উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি রপ্তানি বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
জাতীয় চা দিবস উপলক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছর দেশে ৯৬ দশমিক ৫১ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলে রেকর্ড ১৪ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন করা হয়েছে। দেশে এখন বৃহৎ চা বাগানের সংখ্যা ১৬৭টি এবং ক্ষুদ্রায়তন চা বাগানের সংখ্যা আট হাজারের বেশি। দেশে চা উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। দেশে ঘরে ঘরে চায়ের ব্যবহার বাড়ছে। সে কারণে চায়ের উৎপাদন বাড়লেও সেভাবে রপ্তানি করতে পারছে না সরকার। এদিকে, চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। চায়ের নতুন এবং উন্নত জাত উদ্ভাবনে গবেষণা বৃদ্ধি করা হয়েছে। কৃষকদের চা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
আরও বলা হয়, এত দিন শুধু দেশের পাহাড়ি অঞ্চল, অর্থাৎ চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার ও সিলেটে চা উৎপাদন করা হতো। এখন দেশের উত্তরাঞ্চল পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিহাটের সমতল ভূমিতেও চা উৎপাদন করা হচ্ছে। এতে অন্য ফসল চাষে অনুপযোগী জমিগুলোতে চা উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। ফলে দেশে চা শিল্পের বিপুল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
চা রপ্তানির বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, চা উৎপাদনের এ ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে বিপুল পরিমাণ চা রপ্তানি করতে পারব।
জাতীয় চা দিবস উদ্যাপন বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৮৪০ সালে এখানে ব্যক্তি উদ্যোগে চা উৎপাদন শুরু হয়। তবে, সিলেটের মালনিছড়া চা বাগানে ১৮৫৪ সালে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন শুরু হয়। চা বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫১ সালে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম বাঙালি হিসেবে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। সে কারণে ৪ জুনকে জাতীয় চা দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।