মন্ত্রীদের নির্দেশেই বিরোধীদের ওপর হামলা হচ্ছে : রিজভী
দেশে বর্তমানে বিরোধীদলের সভা-সমাবেশের কোন অধিকার নেই এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রীদের নির্দেশেই বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর একের পর এক হামলা করা হচ্ছে। ঢাবিতে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছাত্রলীগকে বাহবা দিয়েছেন। তাদেরকে ভবিষ্যতে আরও হামলা করার জন্য উৎসাহিত করেছেন।
আজ শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির খাবার বিতরণ কর্মসূচি পালনকালে খুলনা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা করা হয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে বিরোধীদলের সভা-সমাবেশের কোন অধিকার নেই। বিএনপি কোন সমাবেশ করতে গেলে প্রেসক্লাবের সামনে চারদিক ঘেরা স্থানে অনুমনি দেওয়া হয়। অথচ আজ গণমাধ্যমে দেখলাম রাজধানীর সাতটি বড় পয়েন্টে আওয়ামী লীগ সমাবেশ করছে। এক দেশে দুই আইন চলছে।’
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়াকে ‘হত্যার’ উদ্দেশ্যে তার বাসভবনে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের মিছিল থেকে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বাড়ির আসবাবপত্র, গাড়ি ভাঙচুর করে এবং চারটি মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেয়। এছাড়াও আশেপাশের বিএনপি সমর্থিত ব্যবসায়ীদের অন্তত ২৫টির অধিক দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুলিশের সহযোগিতায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে।
তিনি বলেন, ‘হামলায় যুবদল সভাপতি মাহবুব আলম সবুজ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ মিলন, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক একরাম হোসেন রানা, জেলা ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সোহেল দেওয়ান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি অংগ্য মারমা সহ প্রায় ৩০ জন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়। একই সময় বাংলা ভিশন টেলিভিশনের রিপোর্টার এইচ এম প্রফুল্লর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।’
রিজভী বলেন, ‘নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ করার সময় আওয়ামী, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দুস্থ মানুষের খাদ্য ছিনিয়ে নেয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এসময় বিএনপির প্রায় ৫০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়। সেখানে সাংবাদিকরা ভিডিও ফুটেজ ধারণ করতে গেলে এক সাংবাদিকের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা চড়াও হয়ে তাকে মারধর করে মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়।’
এঘটনায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা সেলিম বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি কামাক্ষ্যা চন্দ্র দাসসহ ১৭৫ জন বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বলেও অভিযোগ করেন রিজভী
খাগড়াছড়ি, বেগমগঞ্জসহ বিভিন্নস্থানে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রিজভী হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার দাবি করেন।