অপহরণের সাতদিন পর শিশু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে অপহৃত শিশু মোকারমকে (৯) সাতদিন পর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মদনপুর থেকে শিশুটির খালু বাবু মিয়া ও তাঁর স্ত্রী নূরুন্নাহার অনুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাঁদেরকে ভৈরব থানায় নিয়ে আসা হয়। আজ শনিবার দুপুরে ভৈরব থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা।
ওসি মোস্তফা বলেন, ‘তিন মাস আগে মোবাইল ফোনে শিশু মোকারমের খালার সঙ্গে বিয়ে হয় বাবু মিয়ার। বাবু মিয়ার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার খিদিরপুর গ্রামে। তিনিই শিশুটিকে অপহরণ ও পরে মুক্তিপণ চেয়ে হুমকি দেন।’
ওসি জানান, গত ২৮ মে শনিবার সকালে বাবু মিয়া ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের কামারকান্দা গ্রামে তাঁর ভায়রাভাই রহমত উল্লাহর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। কিছুক্ষণ পর শিশু মোকারমকে স্থানীয় শ্রীনগর বাজারে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অপহরণ করেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুঠোফোনে রহমত উল্লাহর কাছে মুক্তিপণ বাবদ ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন। অন্যথায় শিশুটিকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এই অবস্থায় বাবুর দেওয়া বিকাশ নম্বরে পাঁচ হাজার টাকা পাঠায় শিশুটির বাবা।
এ বিষয়ে গত বুধবার মোকারমের বড় ভাই রুবেল মিয়া ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ভৈরব থানায় অভিযোগ করেন। পরে ২ জুন বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে পুলিশ।
অভিযোগের রাতে উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাকের নেতৃত্বে একটি দল তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাহ এলাকায় স্থানীয় গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে বাবু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
পরে বাবুর দেওয়া তথ্যসূত্রে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার মদনপুর থেকে বাবু মিয়ার প্রথম স্ত্রী নূরুন্নাহার অনুর বাসা থেকে শিশু মোকারমকে উদ্ধার করে পুলিশ। নূরুন্নাহার অনুর বাড়ি ফেনি সদর উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামে।