সাঈদীর রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ কাল
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আগামীকাল মঙ্গলবার রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন (রিভিউ) করবে রাষ্ট্রপক্ষ।
তবে খালাস চেয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবদন (রিভিউ) করতে চায় না আসামিপক্ষ। বরং আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশের রায় নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে চায় তারা।
এ বিষয়ে সাঈদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা রিভিউ করতে চাই না। রাষ্ট্রপক্ষ রিভিউ করলে এর পরই আবেদন করা হবে।’
আজ সোমবার অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে কাজ চলছে। আশা করি আগামীকাল আবেদন করতে পারব। কাল না পারলেও বুধবার রিভিউ আবেদন করা হবে।’
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন, ‘সাঈদীর রায় পর্যালোচনা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিভিউ আবেদন করা হবে। রিভিউতে সাঈদীর ফাঁসির জন্য আবেদন করা হবে।’
এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর সাঈদীর রায় প্রদানকারী পাঁচজন বিচারপতির স্বাক্ষরের পর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৬১৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, আপিল বিভাগের রায় প্রকাশের পর ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন করা যাবে। সে হিসেবে আগামী ১৫ জানুয়ারি সাঈদীর রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করার শেষ দিন।
গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেন। অন্য চার বিচারপতি হলেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠিত ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি প্রমাণিত হয়। রায়ের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালায় জামায়াত-শিবির। সহিংসতায় প্রথম তিন দিনেই ৭০ জন নিহত হন।
এই মামলায় আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের করা দুটি আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত ১৬ এপ্রিল আপিল বিভাগ রায় অপেক্ষমাণ রাখেন। এর ঠিক পাঁচ মাসের মাথায় রায় ঘোষণা করা হয়।