মালয়েশিয়া, গ্রানাডা, সিঙ্গাপুর ও দুবাইতে পি কে হালদারের সম্পত্তির সন্ধান
পি কে হালদারসহ বাকি ছয় অভিযুক্তকে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের কলকাতার আদালত। আজ মঙ্গলবার কলকাতার নগর ও দায়রা আদালতে (ব্যাঙ্কশাল) তোলা হলে বিচারক এদিন ফের তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) জিজ্ঞাসাবাদে পি কে হালদারের মালয়েশিয়া, গ্রানাডা, সিঙ্গাপুর ও দুবাইতে সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে বলে জানা গেছে।
আগামী ২১ জুন পি কে হালদারসহ বাকি ছয় অভিযুক্তকে আবার আদালতে তোলা হবে। তবে জেল হেফাজতে থাকা অবস্থায়ও ইডি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাবে। এরই মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন বেশ কিছু তথ্য মিলেছে।
ইডি পক্ষের আইনজীবী অরিজিত চক্রবর্তী বলেন, ‘পি কে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, পি কে হালদার নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন পি কে হালদার এবং ভারতে পরিচয়পত্র বানানো শিবশঙ্কর হালদার তিনি নিজেই।’
অরিজিত চক্রবর্তী আরও বলেন, ‘পি কে হালদারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে কিছু প্রভাবশালীর যোগসূত্র পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে আর কিছু বলা সম্ভব নয়। এরই মধ্যে টিম পি কের ভারতে ৮৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া গেছে। যাতে পি কে হালদারসহ তার তিন ভাইয়ের নামে যেমন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তেমনি ৫০ থেকে ৬০ জন অজ্ঞাতব্যক্তি রয়েছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশ বাংলাদেশি। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তারা পিকে হালদারের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা পেতেন।’
তদন্তে দেখা গেছে, বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ওইসব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করা হতো এবং পরে সেই অর্থ অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হতো। ভারতে এই অর্থের পরিমাণ মোট ৬০ কোটি রুপি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ছাড়াও তদন্তে মালয়েশিয়ায় সাতটি সম্পত্তির খবর পাওয়া গেছে। ভারত সরকার ও তদন্তকারীদের পক্ষ থেকে সেখানে তদন্তের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
মালয়েশিয়া ছাড়াও গ্রানাডা, সিঙ্গাপুর ও দুবাইতে পি কে হালদারের সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে। তবে শুধু ভারতে এখন পর্যন্ত ৩০০ কোটি রুপির সম্পত্তির খবর পাওয়া গেছে।