সব কটি মামলায় জামিন পাওয়ার পরও মুক্তি মিলল না গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের।

মান্নানের আইনজীবী মঞ্জুর মোর্শেদ প্রিন্স জানান, সব শেষ গত ২৮ ডিসেম্বর হাইকোর্টের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী নাশকতার দুটি মামলায় অধ্যাপক এম এ মান্নানের জামিন আদেশ বহাল রাখেন। এর আগে তিনি আরো ১৭টি মামলায় জামিনে থাকায় তাঁর মুক্তিতে কোনো বাধা ছিল না। কিন্তু পুলিশ গতকাল  রোববার জয়দেবপুর থানায় আরো দুটি নাশকতার মামলায় এম এ মান্নানকে ফের গ্রেপ্তারের জন্য আদালতে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গাজীপুরের সংশ্লিষ্ট আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করেন।

আইনজীবী মঞ্জুর মোর্শেদ প্রিন্স আরো জানান, গত ৫ জানুয়ারি মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের জামিন সংক্রান্ত কাগজপত্র আদালতে পাঠানো হয়। ফের দুটি মামলায় তাঁকে শোন অ্যারেস্ট দেখানোর ফলে তাঁর মুক্তি আটকে গেল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মেয়র মান্নানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলাই ২০ দলীয় জোটের অবরোধ ও হরতালকালে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, নাশকতা, বিস্ফোরক ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধার অভিযোগে জয়দেবপুর থানায় ১৩টি, টঙ্গী মডেল থানায় দুটি, শ্রীপুর মডেল থানায় দুটি ও কালিয়াকৈর থানায় দুটিসহ মোট ১৯টি মামলায় মেয়র মান্নান উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। পুলিশ নতুনভাবে জয়দেবপুর থানার আরো দুটি মামলায় ফের গ্রেপ্তার দেখানোয় তাঁর বিরুদ্ধে মোট ২১টি মামলা রুজু হলো।

চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুরে একটি যাত্রীবাহীবাসে পেট্রলবোমা হামলা মামলায় গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার বারিধারার ডিওএইচএসের নিজ বাসা থেকে এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই সব মামলার মধ্যে একটিতে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। এই কারণে গত বছরের ১৯ আগস্ট স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (সিটি করপোরেশন-২ শাখা) এক প্রজ্ঞাপনে এম এ মান্নানকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়। এরপর প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।