চাঁদপুরে পরিত্যক্ত গোডাউনের আগুনে আতঙ্ক!
সীতাকুণ্ড ট্রাজেডির পর পাবনার একটি শোলার কারখানায় আগুনে ছড়িয়েছিল ভীতি। এরপর রাজধানীর বসিলায় জুতার কারখানা। আবার আজ চাঁদপুরের বড়স্টেশন এলাকায় ঘটল আগুনের ঘটনা। যদিও তা ছিল পরিত্যক্ত একটি শোলার (ককসিট) গোডাউনে। এ সময় সেখান থেকে বের হওয়া ধোঁয়া এলাকাজুড়ে ছড়ায় আতঙ্ক। তবে, সময় মতো না দেখলে এই ছোটখাট অগ্নিকাণ্ডই ঘটাতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক সাহিদুল ইসলাম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, শহরের ৫নং কয়লাঘাটের রেলওয়ের পরিত্যক্ত একটি গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার সকালে ককশিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। তবে, হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
জানা যায়, ঘটনার পর স্থানীয়দের ও ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে, অগ্নিকাণ্ডে ছড়ানো ধোঁয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মানুষ। মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে কালো ধোঁয়ার ছবি ও ভিডিও।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, রেলের পরিত্যক্ত একটি গোডাউনে ইলিশ মাছ সরবরাহের ককশিট ফেলে রাখে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ধারণা করা হচ্ছে, গোডাউনে বহিরাগত লোকজনের সিগারেটের আগুন থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। যদিও এই ছোটখাট আগুন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে বলে জানান তাঁরা।
চাঁদপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শোয়াইবুল সিকদার বলেন, ‘আমাদের ওই পরিত্যক্ত ঘরে কেউ থাকে না। তবে, সেখানে মাছঘাটের ব্যবসায়ীরা ইলিশ ও অন্যান্য মাছ সংরক্ষণে ব্যবহৃত ককশিট রাখত। বহিরাগতদের মাধ্যমে আগুন লাগতে পারে। গোডাউনটি খোলা থাকায় যে কেউ ভেতরে যেতে পারে। তবে, আগুন লাগায় বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক সাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু, এর আগেই স্থানীয়রা ডাকাতিয়া নদী থেকে পানি তুলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখানে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।’