‘গ্রহের সেরা’ ফুটবলারের হাতেই পঞ্চম ব্যালন ডি’অর
অপেক্ষা ছিল নামটি শোনার। ফুটবলবোদ্ধাদের হতাশ করেননি ঘোষক। পঞ্চমবারের মতো বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন মেসি; বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবলার লিওনেল মেসি। সুইজারল্যান্ডের জুরিখে পঞ্চমবারের মতো ব্যালন ডি’অর তুলে নিলেন ‘খুদে জাদুকর’।
বর্ষসেরা ফুটবলারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় মেসির প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পর্তুগালের এবং রিয়াল মাদ্রিদের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও মেসিরই বার্সা সতীর্থ ব্রাজিলিয়ান নেইমার।
২০১৫ সালে স্পেনের বার্সালোনা ক্লাবের হয়ে যে কীর্তি করেছেন এ আর্জেন্টাইন তাতে আজ রাতে মেসির হাতেই সোনালি বলটা দেখা যাবে তা অনুমিতই ছিল। গত বছর বার্সার ঘরে আসে পাঁচটি শিরোপা। আর বলা বাহুল্য, প্রতিটির স্থপতি এ আর্জেন্টাইন। মেসি নিজে গোল করেছেন, করিয়েছেন সতীর্থদের দিয়ে।
গত বছর বার্সার জার্সিতে ৪৮ গোল করেছেন মেসি। আর মেসির অসাধারণ কারুকার্যে স্প্যানিশ লা লিগা, কোপা দেল রে আর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে ইউরোপের প্রথম ক্লাব হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো ট্রেবল জয়ের আনন্দ নেয় বার্সেলোনা।
২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত টানা চারবার ফিফা বর্ষসেরা হয়েছেন মেসি। গত দুইবার মেসির অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো হয়েছিলেন বর্ষসেরা। ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার আর বিখ্যাত ফুটবল ম্যাগাজিন ফ্রান্সের ব্যালন ডি’অর একীভূত হয়ে ২০১০ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে ফিফা ব্যালন ডি’অর পুরস্কার।
গত বছর ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে ফুটবল বিশ্বের নজরটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে আনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মেসি। গত বছর ২৭ আগস্ট দ্বিতীয়বারের মতো মেসি জিতে নেন ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। ৪৯ ভোট পেয়ে ইউরোপ সেরা হন মেসি। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মেসিরই ক্লাব সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ, যিনি পেয়েছিলেন মাত্র তিনটি ভোট। দুটি ভোট পেয়ে তৃতীয় হন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো উয়েফা বর্ষসেরা হন মেসি।
এত কিছুর পরও একটা অতৃপ্তি রয়েই গেছে এ জাদুকরের। হাতের একদম কাছে আসার পরেও বিশ্বকাপটাকে চুমু খাওয়া হয়নি মেসির। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ফাইনালে নিয়ে যান আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু জার্মানির সঙ্গে এক গোলের পরাজয়ে ভেঙে যায় মেসি আর মেসিভক্তদের স্বপ্ন।