বিদ্যুতের ‘সঞ্চালন ও বিতরণ সিস্টেম লস’ কমে ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশে
সরকারের গৃহীত নানা সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণেই বিদ্যুৎ খাতে সিস্টেম লস ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। মুজিববর্ষে সরকার দেশের সব নাগরিককে ১০০ ভাগ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এনেছে।
গত ১০ বছরে বিদ্যুতের সঞ্চালন ও বিতরণের ক্ষেত্রে সিস্টেম লস ১৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
২০১০-২০১১ অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে সিস্টেম লস ছিল ১৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জানুয়ারিতে (সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী) এ সিস্টেম লস ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশে নেমে এসেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের উদ্যোগে চলতি বছরের জুন মাসে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২২’ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনের পর বই আকারে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২২’ সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য প্রদান করা হয়।
অর্থনৈতিক সমীক্ষায় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, শিল্পায়ন ও দারিদ্র বিমোচনে বিদ্যুৎ খাতের অপরিসীম ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জানুয়ারি-২০২২ পর্যন্ত দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৬৬ মেগাওয়াটে। তবে, ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বর্তমানে বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ২৫ হাজার ২৮৪ মেগাওয়াট।
সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ আগের চেয়ে বেড়ে হয়েছে ৫৬০ কিলোওয়াট ঘণ্টা। এ ছাড়াও, বর্তমানে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন ছয় লাখ ১৯ হাজার কিলোমিটারে এবং গ্রাহক সংখ্যা চার কোটি ১৯ লাখে উন্নীত হয়েছে।
মুজিববর্ষে সরকার দেশের সব নাগরিককে ১০০ ভাগ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এনেছে উল্লেখ করে অর্থনৈতিক সমীক্ষায় জানানো হয়, এরপরও সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন এবং সংস্কার ও পুনর্গঠনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। সরকারের ভিশন-২০৪১ অর্জনের লক্ষ্যে ২০৩০ সালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ বিভাগ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।