ক্রিকেটার শাহাদাত দম্পতির মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত
গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্যর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম নুরু মিয়ার আদালতে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রটি উপস্থাপন করা হয়। এর পর তিনি মামলাটি পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) শেখ হাফিজুর রহমানের বরাবর পাঠানোর আদেশ দেন। সেখানে সিএমএম কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য পাঠাবেন। আর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালেই শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রীর বিচারের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুর রহমান ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্যর বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে নির্যাতনের ঘটনার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় বর্তমানে তাঁরা দুজনই জামিনে রয়েছেন।
গত বছরের ৫ অক্টোবর ঢাকার সিএমএম আদালতে শাহাদাত আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, স্ত্রী নিত্যকে গত ৪ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় মালিবাগের পাবনা গলিতে তাঁর বাবার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় ক্রিকেটার শাহাদাত তাঁর বাসার গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে একটি জিডি করেন। একই দিন রাত ৮টার দিকে মিরপুরের পল্লবী এলাকা থেকে হ্যাপিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর তাঁকে মিরপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে হ্যাপি অভিযোগ করেন, শাহাদাতের বাসায় তাঁর ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হতো।
পরে পুলিশ হ্যাপিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে। একই সঙ্গে খোন্দকার মোজাম্মেল নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি শিশু নির্যাতনের দায়ে শাহাদাতের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে।
এর পর ২১ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারা অনুযায়ী আদালতে ঘটনার নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে একটি জবানবন্দি দেয় ভিকটিম মাহফুজা আক্তার হ্যাপি।
এর পর থেকেই শাহাদাত স্ত্রীসহ পলাতক ছিলেন।
এদিকে শাহাদাতকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।