রোনালদোর সঙ্গে মেসির সুসম্পর্ক
অনেকেরই ধারণা, লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মধ্যে তেমন সদ্ভাব নেই। তাঁদেরই বা কী দোষ! গণমাধ্যমে এ নিয়ে তো কম জল্পনা হয় না। তবে বাস্তবটা তেমন নয়। পঞ্চমবারের মতো ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কার হাতে নিয়ে মেসি জানালেন, খেলার মাঠে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও মাঠের বাইরে রোনালদোর সঙ্গে তাঁর কোনো বিদ্বেষ নেই।
গত বছর ফিফা ব্যালন ডি’অর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিলেন রোনালদো। সেদিন মেসির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল জুনিয়র রোনালদো। মেসিও আদর করেছিলেন সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বীর সন্তানকে।
এবার রোনালদোকে পেছনে ফেলে রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো বছরের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতে মেসি ইচ্ছা করেই প্রসঙ্গটা তুললেন। সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে যে তাঁর কোনো রেষারেষি নেই, তা জানিয়ে বার্সেলোনা তারকার মন্তব্য, ‘আমাদের মধ্যে সব সময়ই ভালো সম্পর্ক। একই পেশার মানুষ বলে প্রতিদিনই লড়াই করতে হয় আমাদের। কারণ, আমরা ভিন্ন ক্লাবে খেলি। তবে পত্রপত্রিকায় এ নিয়ে একটু বাড়াবাড়িই করা হয়। তারা একাধিক কারণে আমাদের মধ্যে তুলনা করে থাকে। তবে আসল কথা হলো, আমাদের মধ্যে একে অন্যের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে।’
২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টানা চারবার ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছিলেন মেসি। গত দুবার পুরস্কারটা উঠেছিল রোনালদোর হাতে। ফুটবলের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার আবার হাতে নিতে পেরে মেসি দারুণ খুশি, ‘গত দুই বছর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জেতার পর ব্যালন ডি’অর ফিরে পাওয়া আমার জন্য সত্যিই বিশেষ কিছু। অবিশ্বাস্যভাবে এটা আমার পঞ্চম পুরস্কার। এবারের ব্যালন ডি’অরের মাহাত্ম্যই আলাদা। এমনকি ছেলেবেলাতেও এতটা পাওয়ার আশা কখনো স্বপ্নেও ভাবতে পারতাম না।’
মেসি নিজে ‘অবিশ্বাস্য’ বললেও তাঁর হাতেই যে পুরস্কারটা উঠতে যাচ্ছে, সে ব্যাপারে প্রায় নিঃসন্দেহ ছিল ফুটবল-বিশ্ব। গত বছর বার্সেলোনার লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগ আর কোপা দেল রেসহ পাঁচটি ট্রফি জয়ের নায়ক ভোটের লড়াইয়ে অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছেন সবাইকে। মেসি পেয়েছেন ৪১ শতাংশ ভোট। রোনালদো বেশ পেছনেই, ২৮ শতাংশ। প্রথমবারের মতো তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নেওয়া নেইমারকে ৮ শতাংশ ভোট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। বাকি ভোট পেয়েছেন প্রাথমিক তালিকায় থাকা ফুটবলাররা।
বার্সা-ভক্তদের জন্য আরেকটি আনন্দ সংবাদ, সেরা কোচের পুরস্কারও পেয়েছেন কাতালানদের লুইস এনরিকে। সেরা নারী ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন কার্লি লয়েড। গত বছর বিশ্বকাপের ফাইনালে তাঁর হ্যাটট্রিকের সুবাদে জাপানকে ৫-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেরা নারী কোচ সেই দলেরই জিল এলিস।