মেডিকেল বর্জ্য পোড়াতে প্ল্যান্ট স্থাপন করবে জাপান
দেশের সকল সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত হাসপাতালের মেডিকেল বর্জ্য পোড়ানোর জন্য ইনসিনারেটর প্ল্যান্ট স্থাপনে অর্থায়নের আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান। এ ছাড়া, চট্টগ্রাম ওয়াসায় পিপিপি মডেলে নতুন একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনে বিনিয়োগেরও আগ্রহের কথা জানানো হয়েছে। জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি জাপানের এসব আগ্রহের কথা স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের কাছে তুলে ধরেন।
আজ রোববার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। এ সময় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জাপানের অর্থায়নে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট স্থাপনের আগ্রহকে স্বাগত জানান। মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে তাদের আগ্রহের ব্যাপারে প্রস্তাব দিলে তা যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে রাষ্ট্রদূতকে জানান মন্ত্রী।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মেডিকেল বর্জ্যগুলোকে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় আনতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল, ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোকে তাদের মেডিকেল বর্জ্য যত্রতত্র না ফেলে জীবাণুমুক্ত করে নির্ধারিত ব্যাগে ভরে বর্জ্য সংগ্রহকারীদেরকে দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেছে সরকার।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘মেডিকেল বর্জ্যর পাশাপাশি শিল্পবর্জ্য ও ইলেকট্রনিক বর্জ্য সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে। পরিবেশ সম্মত উপায়ে এসব বর্জ্য ডিসপোজাল করতে পারলে পরিবেশ দূষণ রোধ করা সম্ভব হবে।’
বাংলাদেশের অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে শহর ও পল্লী এলাকায় জাপানের উন্নয়ন সংস্থা-জাইকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
সাক্ষাতকালে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন, সেগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক শক্তিশালী হবে।’
জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নে অনেক সহযোগিতা করেছে, সেই সহযোগিতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। দীর্ঘ পথপরিক্রমায় এই সম্পর্ক আজ অত্যন্ত সুদৃঢ়। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
এসময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মাদ মেজবাহ্ উদ্দিন, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফয়জুল্লাহসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।