আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি : মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ২০২১ সালে শুধু ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন না, আমরা অনুকরণীয় হতে পেরেছি। এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সফলতার গল্প বলে শেষ করা যাবে না।
মন্ত্রী গতকাল রোববার রাতে ঢাকায় হোটেল রেডিসনে বেসিস আয়োজিত স্মার্ট বাংলাদেশ : আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির ভূমিকা এবং বেসিস শর্টকোডের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ভাইস চ্যান্সেলর ড. রুবানা হক প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
মোস্তফা জব্বার বলেন, আমাদেরকে রোবট ব্যবস্থাপনা করতে হবে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করতে হবে, হার্ডওয়্যার ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এজন্য নিজেদেরকে নতুন প্রযুক্তিতে দক্ষ করতে হবে। শুধু সফটওয়্যার রপ্তানিই আমাদের বাজার নয়, সকল ধরনের ডিজিটাল পণ্য ও কার্যক্রমই আমাদের বাজার। একদিন আমরা রোবটও রপ্তানি করবো। আমাদের সবগুলো তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠনগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়ক সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের সন্তানদেরকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থাপনায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি আমরা তৈরি করতে পারি এমন বিদেশি সফটওয়্যার যেনো আগামীতে আর দেশে না আসে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। আমার দেশে আমার দেশের ছেলে-মেয়েদের তৈরি সফটওয়্যারই আমরা দেখতে চাই। সফটওয়্যারের সঙ্গে আইটি অ্যানাবল সার্ভিস থেকেও আমরা রপ্তানি আয় বাড়াতে চাই। আমি মনে করি, আমাদের রপ্তানি হিসাবে আমাদের সকল ডিজিটাল পণ্যকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।‘ যন্ত্র মানুষের বিকল্প নয়’ উল্লেখ করে এ জন্য মানুষের পাশাপাশি ‘যন্ত্র পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা, আইওটি, রোবট ম্যানেজমেন্ট করতে শিখতে হবে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, স্বপ্নকে সক্ষমতার চেয়ে বড় করতে হবে। এটাই সফলতার মূল। এ জন্য প্রায়োরিটি ফোকাস করতে হবে। এক্ষেত্রে খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষির পরই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে প্রযুক্তিকে। স্মার্ট হতে হলে স্মার্ট অপারিবিলিটি, ডেটা এবং আইডেন্টিফিকেশন প্লাটফর্মকে জোড়া দিয়ে একটি টেকসই আর্কিটেকচার নকশা করতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না প্রযুক্তি আমাদের ভবিষ্যত।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে আমাদের শ্রম নির্ভর অর্থনীতি আজ শিল্প, সেবা ও প্রযুক্তি নির্ভরতায় রূপান্তরিত হয়েছে।