জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ নিশ্চিত : সাক্কু
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেছেন, ‘ইনশাআল্লাহ জয়ের ব্যাপারে আমি হানড্রেড পার্সেন্ট নিশ্চিত। জয়-পরাজয় যেটাই হোক, রেজাল্ট নিয়ে যাব। মাত্র তো এক ঘণ্টা গেল। হোক না আরও, তারপর বলা যাবে।’
নগরীর হোচ্চা মিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন এ মেয়রপ্রার্থী।
এ ছাড়া ইভিএম জটিলতা ও ধীরগতির কারণে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারেরা ভোট দিতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন মনিরুল হক সাক্কু।
স্বতন্ত্র এ মেয়রপ্রার্থী জানিয়েছেন, ইভিএমের জটিলতা ও ধীরগতির কারণে যত সংখ্যক ভোটার রয়েছেন, তাঁরা শেষপর্যন্ত ভোট দিতে পারবেন কি না, এ নিয়ে তাঁর শঙ্কা রয়েছে।
এর আগে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক রিফাত এবং এর কিছু পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের নিজামউদ্দিন কায়সার ভোট দেন।
বহুলপ্রত্যাশিত এ ভোট কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রথম পরীক্ষা। কুমিল্লা সিটির ভোটকে কেন্দ্র করে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ইসি। বেশ কঠোর মনোভাব পোষণ করতেও দেখা গেছে ইসিকে। এটিকে ইসির সক্ষমতা ও গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণের বড় সুযোগ বলে মনে করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। ফলে, ইসির জন্য এ নির্বাচন একটি চ্যালেঞ্জ।
যদিও স্থানীয় সংসদ সসদ্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে নির্বাচনি এলাকা ছাড়তে বলার পরও তিনি এলাকা ছাড়েননি। বাহারের এলাকা ছাড়া নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করতে দেখা গেছে ইসিকে। বাহার ইস্যুকে কেন্দ্র করে কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন, বাহারই ইসির প্রথম ধাক্কা।
কুমিল্লা সিটি ভোটকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও ভোট সুষ্ঠু করতে ইসিও তৎপর।
এদিকে, কুমিল্লার ভোটে সাধারণ ছুটি ঘোষণা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রার্থীরা।
কুমিল্লা সিটির ভোট নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ-বিএনপির ভোটারেরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এ পরিস্থিতিতে সদ্য সাবেক মেয়র বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মনিরুল ইসলাম সাক্কুর হ্যাটট্রিক বিজয় হবে, না কি প্রথম বারের মতো আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত জয়ের মুকুট পাবেন, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আজ রাতে ভোটের ফলাফল পাওয়া পর্যন্ত।
কুমিল্লা সিটির ভোটের সঙ্গে আজ পাঁচটি পৌরসভা, চারটি উপজেলা পরিষদ এবং দেড়শতাধিক ইউনিয়ন পরিষদের ভোটও অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান।
এবারের কুমিল্লায় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার নির্বাচনকে ঘিরে কেন্দ্র দখল কিংবা পেশিশক্তির ব্যবহারসহ কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা সহিংসতা যাতে ঘটতে না পারে, সেজন্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার সহস্রাধিক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো সিটিকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।