ঢাকায় জমি-ফ্ল্যাটের মালিকেরা সবাই কালো টাকার মালিক : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘ঢাকা শহরে যাদের জমি ও ফ্ল্যাট আছে, তারা সবাই কালো টাকার মালিক। এটার জন্য আমাদের চলমান পদ্ধতি দায়ী। যে ফ্ল্যাট দুই কোটি টাকায় রেজিস্ট্রি হচ্ছে, সে ফ্ল্যাটের প্রকৃত দাম ১০ কোটি টাকা। ফলে, সরকার বাড়তি রেজিস্ট্রেশন ফি পাচ্ছে না। এখান থেকেই কালো টাকার শুরু।’
আজ বুধবার সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পাচার করা টাকা দেশে ফেরত আনা সম্ভব হলে তার একটি অংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হবে। বিভিন্ন শিল্প-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগ হবে। এজন্যই আমরা পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে প্রস্তাবিত বাজেটে সু্যোগ দিয়েছি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা যখন রেমিট্যান্সের ওপর প্রণোদনা দিয়েছিলাম, তখনও অনেক সমালোচনা ছিল। বলা হয়েছিল, টাকা আসবে না, কিছু হবে না, টাকা পাচার হবে। কিন্তু, এসেছে। শুধু আসেইনি, ঐতিহাসিক রেকর্ডও হয়েছে।’
সরকারের পদ্ধতিগত ত্রুটির বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার গুলশান এলাকায় কেনা কোনো জমির যে দাম দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়, জমির প্রকৃত দাম তারচেয়েও বেশি। কিন্তু, বেশি দামে তো রেজিস্ট্রি করতে পারবেন না। প্রত্যেক মৌজার জন্য দাম ঠিক করে দেওয়া আছে, এর বেশি দামে রেজিস্ট্রি করা যাবে না। সুতরাং, যেটি পারা যাবে না, কালো টাকা তো সেখানেই হয়ে আছে। যখন বিদেশে পাচার হওয়া কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করি, তখন বলা হচ্ছে, সরকার নাকি কালো টাকাকে সাদা করার প্রশ্রয় দিচ্ছে। আমি বারবার বলি, অপ্রদর্শিত টাকা। এখানে লাজ-লজ্জার কিছু নাই। সরকার এজন্য দায়ী।’